নারীদের মানবাধিকার নিশ্চিত করুক তালিবান, তবেই বাকিরা এগিয়ে আসবে: রাষ্ট্রসংঘ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর সে দেশের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। গত ছয় মাসে সে দেশে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক ত্রাণের অভাবে ভয়াবহ খাদ্য সঙ্কটে ভুগছে দেশ।
দেশের ৯৫ শতাংশ জনগণই দরিদ্র সীমার নিচে চলে গিয়েছে বলে রাষ্ট্রসংঘ তাদের একটি রিপোর্টে জানিয়েছে। করোনা প্রতিরোধী টিকাকরণও খুব একটা হয়নি। ফলে গণহারে মারা যাচ্ছে মানুষ। এই পরিস্থিতিতে বারবার আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
যদিও তাতে বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো সেভাবে কান দেয়নি। এই পরিস্থিতিতে শীর্ষস্থানীয় রাষ্ট্রগুলির মনে আস্থা তৈরি করতে তালিবানকেই এগিয়ে আসার ডাক দিলেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব।
ট্যুইট করে গুতেরেস বলেন, তালেবানকে সবার আগে নারীদের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তাদের শিক্ষা, বেঁচে থাকা, কর্মসংস্থান ও আইনে সমান অধিকার আছে। সেটা শুধু মুখের কথায় নয়, কাজে করে দেখাতে হবে।
আফগানিস্তানজুড়ে যেসব ঘটনা ঘটছে তা কমবেশি সকলেই জানতে পারছে। তাই তাদেরকে সাহায্য করলে তা ভুল ক্ষেত্রে ব্যয় হবে না এই আস্থার পরিবেশ তৈরী করলেই পরিস্থিতি বদলাবে।
রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার তালিবান যদি নিজেদের শুধরে নেয়, যদি বোঝায় যে সে দেশে মানবাধিকার সঙ্কট কাটাতে বৈদেশিক সাহায্য এলে তা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রেই ব্যয় হবে, সন্ত্রাসবাদে মদত যোগাতে সেই অর্থ খরচ হবে না তাহলেই বিশ্বের বাকি দেশগুলো সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবে।
উল্লেখ্য আফগানিস্তানের জনসংখ্যা আড়াই কোটির আশেপাশে। কিন্তু দেশের বেহাল অর্থনীতি ও বৈদেশিক সাহায্যের অভাবে বেশিরভাগ মানুষ অর্ধাহারে বা অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।