গীতাঞ্জলী স্টেডিয়ামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেজাজ হারালেন মুখ্যমন্ত্রী
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বৃহস্পতিবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেজাজ হারালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তব্য থামিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি। কিছুক্ষণ ধরে বন্ধ থাকে বক্তব্য। পরে বক্তব্য শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী।
বক্তব্য রাখার মুহুর্তে মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্য করেন বেশ কিছু মানুষ দাবী দাওয়া নিয়ে সরব হয়েছেন। এহেন ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। পরে দেখা করেন তাঁদের সঙ্গে।
এদিন ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সমস্ত জায়গায় তিন চারটে লোককে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেকটা মিটিংয়ে তিন চার জন করে ঢুকছে। আমি যখনই কিছু বলতে যাচ্ছি তখনই দাঁড়িয়ে পড়ছে।
পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক হয়ে পড়ে হাল ধরতে এগিয়ে আসতে হয় যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সভার পরে তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী। আশ্বাস দেন তিনি। কথা রেখে তাঁদের সঙ্গে সভার পর দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ আজ পুরুলিয়ায় শুভেন্দু, সভাস্থলের পাশে মিলল পেট্রল ক্যান, উত্তেজনার মাঝে কড়া নিরাপত্তা
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর প্রতিবাদী মহিলারা বলেন, তাঁরা শিক্ষক একতা মুক্ত মঞ্চ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য। মুখ্যমন্ত্রঈর সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। ২৬ তম দাবী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা।
সমকাজে সমবেতন সহ একাধিক দাবী নিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। তাঁদের দাবী যথাসম্ভব মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর থেকে সাড়া মিলে খুশি শিক্ষকরা। তাঁরা মনে করছেন তাঁদের দাবী মেনে নেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি ভগবান নই। ভগবানের পক্ষেও সবটা করে দেওয়া সম্ভব নয়। আর ক’দিন পর নির্বাচন। এখনও এই চাই ওই চাই। একটা পরিবারের জন্য একাধিক প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার পর আর কি চাই? প্রশ্নও ছুঁড়ে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
তিনি আরও বলেন, ইন্ডিভিজুয়াল কেউ যদি এসে বলেন আমায় এই দিতে হবে আমায় ওই দিতে হবে আমি পারব না। তাতে আপনারা আমায় ভোট না দিতে চান দিতে হবে না। যারা দেবেন তাঁদের ভোট নিয়ে সরকার হয়ে যাবে।
এরপর বিজেপিকে কটাক্ষ করে একাধিক মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিছুদিন আগেই বর্ধমানের জনসভা থেকে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা থেকে শিক্ষা নিন। গীতাঞ্জলী স্টেডিয়ামের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও শোনা গেল সেই উদ্ধৃতি।
বাংলায় তৃণমূলের বিকল্প যে তৃণমূল সেটাও স্পষ্ট করে দেন তিনি।