বিজেপির সভায় ভিড়ে ভাটা, চিন্তায় গেরুয়া শিবির
দ্য় কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মুখে যাই দাবি করুন না কেন, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার পরিবর্তন যাত্রা আশা জাগাতে পারেনি বিজেপি শিবিরে। উল্টে নাড্ডার বীরভূম, ঝাড়গ্রামের সভা ও পরিবর্তন যাত্রা কার্যত সুপার ফ্লপ। অথচ একই দিনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুই জেলার সভাতেই ভিড় উপচে পড়েছে। আর তাতেই রাতের ঘুম উড়েছে গেরুয়া শিবিরের।
মঙ্গলবার প্রথমে তারাপীঠে পুজো দিতে গিয়েছিলেন জেপি নাড্ডা। সেখানে তাঁকে দেখতে সামান্য কর্মী-সমর্থক ভিড় করলেও স্থানীয় বাসিন্দারা ছিলেন উদাসীন। আর তার থেকেও বেহালদশা ছিল জনসভার। মাঠের অধিকাংশ জায়গায় ফাঁকা পড়েছিল। ঝাড়গ্রামের অবস্থাও তথৈবচ।
ঝাড়গ্রামে সভাস্থলের পাশে বিজেপির এক কার্যালয় ৩০ মিনিট অপেক্ষা করেন নাড্ডা। কিন্তু তাতেও সভাস্থলে জনসমাগম হয়নি। এরপর সভা না করেই তিনি যান খড়গপুরে। রেল শহরে একটি চা চক্রে যোগ দেন নাড্ডা। ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। কিন্তু কর্মী-সমর্থক থাকলেও, ছিল না আমজনতা। শুধু তাই নয়, অন্যান্য বিজেপি বেশিরভাগ নেতার সভায় ভিড় ক্রমশই তলানিতে।
কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে ব্রিগেডের সভায় থাকছেন বুদ্ধবাবু
কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? রাজনৈতিক মহলের মতে, নিজেদের ভোট প্রচারে রূপরেখা সাজাতে পারেনি বিজেপি। বিভিন্ন সভাতে তারা শুধুমাত্র তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে। কিন্তু বাংলার মানুষের জন্য কী ভাবছে? ক্ষমতায় এলে তাদের উন্নয়ন নিয়ে কী করবে তা নিয়ে একটি শব্দ খরচ করছে না।
অপরদিকে, তৃণমূল সুপ্রিমো সহ অন্যান্য নেতা-নেত্রীদের ভাষণে রাজ্যের উন্নয়নমূলকের খতিয়ান তুলে ধরা হচ্ছে আমজনতার আশঙ্কা, বিজেপি ক্ষমতায় এলে তৃণমূল সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি বন্ধ করে দেবে। তাতে আখেরে ক্ষতি তাঁদেরই।
পাশাপাশি, পেট্রোপণ্য-জ্বালানির দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার প্রভাব পড়ছে অন্যান্য সব পণ্যে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এর জেরেই জনসমর্থন হারাচ্ছে বিজেপি। যা চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে পদ্ম শিবিরের নেতৃত্বে কপাল।