সারদার টাকা ফেরাতে এক সদস্যের কমিটি গঠন হাইকোর্টের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ   সারদা আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য এক সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। যে টাকা পড়ে রয়েছে তা ফান্ড তৈরি করে আমানতকারীদের দেওয়া হবে বলে জানায় আদালত। সেইসঙ্গে সিবিআই সারদা মামলায় যেসমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে তা বিক্রি করে সেই টাকা আমানত কারীদের ফেরত দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার সারদা মামলার শুনানি চলাকালীন একথা ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল৷ তবে আমানতকারীদের দ্রুত টাকা ফিরতে দিতে কার তত্ত্বাবধানে সেই কমিটি গঠন হবে তা এখনও অবধি জানায়নি আদালত৷ তবে আদালতের এই নির্দেশে ক্ষীণ আশা দেখছেন আমানতকারীরা।

তবে এদিন শুনানি চলাকালীন রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালত। শ্যামল সেনের আমানতকারীরা কেন এই টাকা পেলেন না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত৷ শ্যামল সেনের ফান্ড থেকেও রাজ্য প্রয়োজনে টাকা কীভাবে নিতে পারে? প্রশ্ন তুলেছে আদালত।

এর আগে এমপিএস, রোজভ্যালি সহ একাধিক চিটফান্ড মামলায় কমিশন গঠন করে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২০১৩ সালের এপ্রিলে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শ্যামল সেনের তত্ত্বাবধানে এর আগে ৫০০ কোটি টাকা ফিরত দিয়েছিল রাজ্য সরকার৷

শ্যামল সেন কমিশনে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল ১৭ লক্ষ। তার পরেও রাজ্য সরকারের হাতে থেকে যায় ১২৮ টাকা। বেশ কিছু টাকা জমা রয়েছে সিবিআইয়ের কোষাগারে। সেই সমস্ত টাকা ফেরাতে উদ্যোগ নিল আদালত।

আগামী ২৯ জুলাই রয়েছে মামলার পরবর্তী শুনানি। সেখানেই কার তত্ত্বাবধানে আমানতকারীরা টাকা পাবেন তা স্থির হয়ে যাবে।

দিনকয়েক আগেই রাজ্যে সিবিআইয়ের থাকা সমস্ত মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন দেবযানী মুখ্যোপাধ্যায়। তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এবং অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। অসম এবং ওড়িশায় একটি করে মামলায় জামিন হয়নি দেবযানীর। তাই এখনও মুক্তি হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে জম্মু-কাশ্মীরের সোনমার্গ থেকে গ্রেফতার হন সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন এবং দেবযানী মুখ্যোপাধ্যায়। তার পর একাধিক কয়েকশো মামলা দায়ের হয়েছে। টাকা ফেরত না পেয়ে করুণ অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়েছে আমানতকারীদের৷

সম্পর্কিত পোস্ট