বদলেছে নেতৃত্ব, দাবি সেই গোর্খাল্যান্ড- বিমলপন্থীদের যোগ বিজেপিতে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিমলের উপর আস্থা হারিয়ে বিজেপিতে যোগদান বিমলপন্থীদের। পাহাড়বাসীর মূল দাবি গোর্খাল্যান্ড। এই দাবিতে আশির দশকে আন্দোলন শুরু করেছিল জিএনএলএফের সুপ্রিমো প্রয়াত সুবাস ঘিসিং।
তারপর বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনের রুপরেখা বদলেছে। সেই একই দাবিতে আন্দেলন চালিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং। পাহাড়ের মানুষের এই দাবি আদায় করার জন্য একাধিক বার আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাহাড়।
সাড়ে তিন বছর আগে বিমল গুরুঙের নেতৃত্বে আন্দোলনে বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়। নিহত হন পুলিশ অফিসার অমিতাভ মালিক। রাজ্য রাজনীতি ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাহাড় ইস্যুতে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/5-bangladeshis-arrested-from-siliguri/
২০১৭ সাল থেকে গা ঢাকা দেয় বিমল গুরুং, রোশন গিরি সহ মোর্চার একাধিক নেতৃত্ব। এমনকি গোর্খাল্যান্ডের দাবি আদায়ের জন্য বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধে গুরুঙ। প্রায় সাড়ে তিন বছর আত্মগোপন থাকার পর সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসেন মোর্চা সু্প্রিমো।
কলকাতায় পা রেখেই গুরুঙ জানান, তারা বিজেপির উপর আস্থা রেখে ভুল করেছে। তারা রাজ্য সরকারের সঙ্গে থেকে তাদের দাবি আদায়ের পথ সুগম করবে। তৃতীয়বারও মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দোপাধ্যায়কেই তারা চান বলে জানান বিমল গুরুং।
সেই মত তরাই, ডুয়ার্স ও পাহাড়ে প্রচার শুরু করে গুরুং। গত বছর ডিসেম্বরর মধ্যভাগ থেকে পাহাড় সরগরম হয়ে ওঠে রাজনীতির ময়দানে। তবে বিমল গুরুঙের এই ভোল বদল মেনে নিতে পারেনি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার অনেক নেতৃত্বই।
তারা তৃণমূলের সঙ্গে নয় বিজেপির সঙ্গে থেকেই তাদের দাবি আদায় করতে চেয়ে শিলিগুড়ির কাছে মিলন মোড়ে যোগদান করেন বিজেপিতে। তাদের হাতে বিজেপির দলীয় পতাকা হাতে তুলে দেন দার্জিলিং এর সাংসদ রাজু বিস্ত, রাজ্য বিজেপির সাধারন সম্পাদক সায়ন্তন বসু।
যোগদানের পর বিমলপন্থীরা জানান যে তাদের একমাত্র দাবি আলাদা রাজ্য। যা বিজেপির সঙ্গে থেকেই সম্ভব। তাদের অভিযোগ, মমতা বন্দোপাধ্যায়কে আবার মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চায় গুরুং। এতে স্পষ্ট তৃণমূলের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক তৈরী করেছে সে। তাই আমরা তার সঙ্গ ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলাম।তাদের কথায়, বিমল গুরুং পাহাড়ের মানুষের যে মূলদাবি তা থেকে সরে এসেছে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/corona-vaccine-is-being-provided-to-the-districts-preparations-for-distribution-are-in-full-swing/
সায়ন্তন বসু বলেন বিমল গুরুং এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের যে আঁতাত তা পাহাড়ের মানুষ মেনে নিতে পারছে না। আজ যা হল তা ট্রেলার। বাকি ছবি এখনও দেরি আছে।তবে কিছুদিনের মধ্যে দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং ও মিরিক থেকে বহু মানুষ বিজেপিতে যোগদান করবে বলে জানান তিনি।
এই বিষয়ে রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “২০১৪ ও ২০১৯ লোকসভা ভোটে বিমল গুরুংকে ভ্রান্ত কথা বলে পাহাড়ের সিট দখল করেছিল বিজেপি। পাহাড়ের মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। পাহাড়ের মানুষের সঙ্গে বেইমানি করেছে। ভোটে জেতার পর কোনো প্রতিশ্রুতি রাখেনি। সেই দলে কে গেল তাতে কিছু যায় আসে না।”