ভোটের আগে শুরু দুর্গাপুর ব্যারেজ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ, সরকারকে কাঠগড়ায় তুলছেন স্থানীয়রা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বয়স প্রায় ৭০ এর কাছাকাছি। ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে শক্তি। স্বাস্থ্যের অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। এতে যেমন তৈরি হচ্ছে আশঙ্কা। তেমনি স্বাস্থ্যের ক্রমশ অবনতি ভোগান্তিতে ফেলছে আম জনতাকে।
কোভিডের ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই ঘাড়ে এসে পড়েছে আম্ফান। জোড়া ধাক্কা সামলে উঠতেই আবার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন কড়া নাড়ছে।
ফলে যে কাজ দীর্ঘদিন ধরে কর্ণকুহরে থাকা সত্ত্বেও তা নিয়ে কোনোরকম ভাবনা চিন্তা হয়নি, আজ তাকে নিয়েই ভোট বাজারে দর বাড়াতে নেমে পড়েছে শাসক শিবির।
বলছি দুর্গাপুর ব্যারেজের কথা। যার পথ চলা শুরু হয়েছে ১৯৫৫ সালে। দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন এবং ব্যারেজ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল রাজ্য সরকারের ওপর।
২০১১ সালের পর সরকার বদল হলেও দুর্গাপুর ব্যারেজের হাল এতোটুকু পরিবর্তন হয়নি। অভিযোগ স্থানীয় মানুষদের।
স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, যখনই ব্যারেজের অবস্থা একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকে তখনই জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করে ঠেকিয়ে দেওয়া হয়।
অমিত শাহের জরুরী তলবে দিল্লি যাচ্ছেন শুভেন্দু
২০১৭ সালে দুর্গাপুর ব্যারেজের এক নম্বর লকগেট ভেঙে বিপর্যয় দেখা যায়। তৎকালীন সেচমন্ত্রী ছিলেন বর্তমানের বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় তিনি দুর্গাপুর ব্যারেজের ৩১ টি গেটের মধ্যে ১১ টি গেট নতুন করে বসানোর কথা বলেছিলেন।
শুধু তাই নয় দুর্গাপুর ব্যারেজের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বেশকিছু উদ্যোগ তিনি নিয়েছিলেন। সেই রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্য সরকারকে। এরপরই হঠাৎ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বদলি করে দেওয়া হয় বনদপ্তরে। থমকে যায় সেচ দপ্তরের অসম্পূর্ণ কাজ।
সে সময় শেষ মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে। তবে তাতে কতটা লাভ হয়েছিল সেটা দুর্গাপুর ব্যারেজের বর্তমান অবস্থা দেখলেই অনুমান করা যায়।
গতবছর দুর্গাপুর ব্যারেজের আরও একটি গেট ভেঙে বিপত্তি ঘটে। প্রায় সাত দিনের বেশি সময় দুর্গাপুর শহর সহ বাঁকুড়া জেলার মানুষ জলকষ্টে চরম ভোগান্তিতে পড়ে। তড়িঘড়ি সেই ড্যামেজ কন্ট্রোল করা হয়। তারপর সেখানেই শেষ। আর ফিরে তাকানো হয়নি ব্যারেজের দিকে।
ঘুরে গিয়েছে বছর। নির্বাচন দোরগোড়ায়। হঠাৎই দুর্গাপুর ব্যারেজের রক্ষণাবেক্ষণের কথা শাসক শিবিরের মনে পড়াতেই তা নিয়ে তোপ দাগতে ছাড়ছেন না আমজনতা।
নতুন করে শুরু হয়েছে দুর্গাপুর ব্যারেজের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ। চলবে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই কদিন সকাল ১১ট থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ব্যারেজের সেতু।
৭ তারিখ ডুমুরজলাতেই শক্তি প্রদর্শন তৃণমূলের, পাল্টা কটাক্ষ বিজেপির
১৪ ই ফেব্রুয়ারি গোটা দিন বন্ধ থাকবে সেতু। ফলে একপ্রকার চরম ভোগান্তিতে ভুগছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
দক্ষিণ ভারত থেকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা দুর্গাপুর ব্যারেজ ব্রিজ। দীর্ঘদিন ধরে এই সেতুর বেহাল অবস্থা। ভোটের আগেই স্বাভাবিকভাবেই স্বাস্থ্য পরীক্ষার তৎপরতা শুরু হওয়ায় তা নিয়ে কটাক্ষের মুখে পড়তে হচ্ছে শাসক শিবিরকে।