মন্ত্রীই বলছেন ‘দলটা করা যাবে না!’ বিচ্ছিন্ন ঘটনা, নাকি তৃণমূলে সমস্যা অনেক গভীরে

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিরোধীদের জুতোপেটার হুঁশিয়ারি একদিকে, অপরদিকে মন্ত্রী বলছেন, “এই দলটা আর করা যাবে না”। তৃণমূল কংগ্রেস মানে এই দুটো ছবিই এখন সত্য। এর মাঝে অবশ্য ধীর-স্থির হয়ে কাজ করে চলেছেন এমন‌ও মানুষ‌ও আছে। তবে‌ রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতর মন্তব্য ঘিরে তোলপাড়টা যেন বেশিই হচ্ছে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত নিজের কেন্দ্রের দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার সময় মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহানদের নাম করে লুটেপুটে খাওয়ার অভিযোগ করেন এবং এরপরই বলেন, “আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি সবাইকে জানিয়েছি, কিন্তু এই দুর্নীতির বিষয়ে কেউ গুরুত্ব দেয়নি। এই যদি চলতে থাকে তবে দলটা আর করা যাবে না”। পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন সমিতি নামে পৃথক একটি মঞ্চ গড়ার কথাও বলতে শোনা যায় ওই মন্ত্রীকে।

পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব শ্রীকান্ত মাহাতকে বক্তব্যের ব্যখ্যা চেয়ে শোকজ‌ করে। পাল্টা ভুল হয়ে গেছে বলে তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন। তাতে বিতর্কের এই অধ্যায় হয়তো থামবে। কিন্তু মন্ত্রীমশাইয়ের এই মনোভাব কি থামানো যাবে?

রাজনৈতিক মহলের মতে, শ্রীকান্ত মাহাত হয়তো প্রকাশ্যে বলে ফেলেছেন। কিন্তু একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ যেভাবে উঠে আসছে এবং দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা যেভাবে তাতে জড়িয়ে পড়ছেন, তাতে তৃণমূলের একটা অংশ‌ও বিরক্ত, ক্ষুব্ধ।

‘আপনি মানে না গাঁয়ে মোড়ল’ দশা সৌগতর, মুখের ভাষা শুনলে অধ্যাপক মনে হবে না

সবচেয়ে বড় কথা, সর্বস্তরে দুর্নীতি যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে তাতে অনেক জায়গাতেই সাধারণ মানুষের মুখোমুখি হতে পারছেন না নেতা-কর্মীরা। যাঁরা ব্যক্তিগতভাবে সৎ, তাঁদের ক্ষোভ ও বিরক্তি স্বাভাবিকভাবেই বেশি।

এই অবস্থায় অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়ানো তৃণমূলের পক্ষ বুমেরাং হতে পারে বলে আশঙ্কা। কারণ পার্থর মতো নারী ঘটিত কেলেঙ্কারি না থাকলেও তদন্তে কেষ্টর প্রতিদিন যেভাবে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পাওয়া যাচ্ছে তাতে প্রশ্নের আয়তন ক্রমশ‌ই বড় হচ্ছে। শ্রীকান্ত মাহাত মুখ ফসকে সেটাই বলে ফেলেছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট