বকেয়া পুরভোট হোক ২ দফায়, হাইকোর্টে জানাল কমিশন

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কলকাতা পুরভোট মিটতেই রাজ্যের বাকি পুরসভা গুলিতে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিলো নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে বকেয়া ১১১ টি পুরসভায় দু’দফায় ভোট করাতে প্রস্তুত তারা। প্রথম দফায় ভোট হবে ২২জানুয়ারি। দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ২৭ জানুয়ারি। প্রথম দফায় আসানসোল হাওড়া এবং শিলিগুড়িতে ভোট হবে। দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে বাকি পৌরসভাগুলিতে।

KMC Election 2021: আগামী পাঁচ বছরের মেয়র ফিরহাদ, চেয়ারম্যান মালা রায়

হাওড়ার পাশাপাশি রাজ্যের আরও ১১১টি পুরসভায় নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে বেশ কিছু দিন আগে। হাওড়া পুরসভার নির্বাচন-ভাগ্য ঝুলে রয়েছে রাজভবনে। কারণ, হাওড়া পুরসভার সংশোধনী বিলটি রাজ্যপাল এখনও আটকে রেখেছেন। তাই কলকাতার পুরভোট শেষ হতেই বাকি ১১১টি পুরসভার ভোট নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে বলেছেন, দু’-এক মাসের মধ্যে ভোট হয়ে যাবে।

নবান্নের যুক্তি, শীতের মধ্যে ভোট হলে কষ্ট অনেক কম হয়। তাই ঠান্ডার আমেজ থাকতেই নির্বাচন করার পক্ষে রাজ্য সরকার। কিন্তু করোনার কারণে একসঙ্গে নয়, কয়েক দফায় ভোটগ্রহণ হওয়াই ভালো। বিধানসভার ভোট আট দফায় হলে, পুরভোটে চার-পাঁচ দফায় ক্ষতি কী? সেই অনুযায়ী জানুয়ারি মাসে নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে একটি মহলে চর্চা তুঙ্গে।

সরকার ও কমিশনের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, নতুন ভোটার তালিকার উপর ভিত্তি করে হবে পুর নির্বাচন। আর তা প্রকাশিত হবে আগামী ৫ জানুয়ারি। তারপর বিভিন্ন পুরসভার ওয়ার্ড ধরে ভোটার তালিকা তৈরি করতেও সময় লাগবে কয়েকদিন। আবার আইন অনুযায়ী, ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি ও নির্বাচনের দিনের মধ্যে ন্যূনতম ২৪ দিনের ব্যবধান থাকা প্রয়োজন। ফলে ফেব্রুয়ারি মাসের আগে বাকি পুরভোট হওয়া কার্যত অসম্ভব।

আরও কিছু কারণ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম সরকারি ছুটি। ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দ এবং ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন। ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবস। আবার গঙ্গাসাগর মেলা রয়েছে। সর্বোপরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের কর্মসূচি ‘দুয়ারে সরকার’ও দু’দফায় হওয়ার কথা জানুয়ারি মাসে। প্রথম দফায় ২ থেকে ১০ জানুয়ারি, আর দ্বিতীয় দফায় ২০ থেকে ৩০ জানুয়ারি রাজ্যের সর্বত্র হবে এই শিবির। ‘দুয়ারে সরকার’ থেকে ২০টি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন সাধারণ মানুষ। তাই জানুয়ারি মাস ভোট করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট অসুবিধাজনক।

সম্পর্কিত পোস্ট