শীঘ্রই দেশে আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউঃ এইমস প্রধান
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর লকডাউনে শিথিলতা এনে ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে বাজার দোকান। কিন্তু সেখানেও নেই দুরত্ব বিধির নিয়ম নীতি। খুব শীঘ্রই তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হতে চলেছে গোটা দেশ। আশঙ্কা এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়ার।
তিনি বলেন, আমাদের কোভিডের প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত ছিল৷ কিন্তু তা আমরা নিতে পারিনি। সেই কারণেই আনলক পর্বে আবার মানুষ বাইরে বের হতে শুরু করেছে। একাধিক জায়গায় ভিড়, জমায়েত করতে শুরু করেছে। এটাই বিপদের কারণ হতে পারে৷
তিনি আরও বলেন, করোনার প্রতিরোধের জন্য অতিদ্রুত সারা দেশে টিকাকরণ চালু করা দরকার। কোভিডের নতুব প্রজাতির আচার আচরণ লক্ষ্য করার জন্য আমাদের আরও পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। ৫ শতাংশের অধিক যে এলাকায় সংক্রমণ সেখানে লকডাউন করা দরকার।
ইতিমধ্যে দেশে করোনার দুটি টিকা পেয়েছেন মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ৷ কিন্তু কেন্দ্রের তরফে বারবার বলা হচ্ছে বছরের শেষে টিকা পাবেন ১০০ কোটির অধিক জন। চাহিদা না মেটাতে পেরে কম সংখ্যায় চলছে টিকাকরণ। ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য ডেল্টা প্রজাতিকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। সার্স কোভ টু নিয়ে এখনও সমস্ত তথ্য হাতে পাওয়া যায়নি।
সীমান্তে নিঁখোজ যুবক, আতঙ্কে পরিজনেরা
কারণ প্রত্যেক মুহুর্তে রূপ বদল করছে এই মারন ভাইরাস। ক্রমাগত রূপ বদলে নতুন প্রজাতি দেখা দিচ্ছে৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, যত দ্রুত নতুন প্রজাতি ছড়িয়ে পড়বে ততই ভয়ঙ্কর হবে বিষয়টি৷ যাদের সংক্রমণে নতুন প্রজাতির প্রমাণ পাওয়া যাবে তাঁদেরকে পর্যবেক্ষণে রাখা দরকার৷
এবিষয়ে এইমস প্রধানের মন্তব্য, করোনার প্রথম ঢেউয়ে সংক্রমণের আশঙ্কা এতটা ছিল না। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ে সেই আশঙ্কা তীব্র হয়েছে। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে ডেল্টা প্রজাতির ভাইরাসের কারণে আরও দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬০,৭৫৩ জনের৷ মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২,৯৮,২৩,৫৪৬ জন। কোভিডে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১,৬৪৭ জন৷ মোট মৃতের সংখ্যা ৩,৮৫,১৩৭ জন। গত ২৪ ঘন্টায় করোনাকে পরাজিত করে সুস্থ হয়েছেন ৯৭,৭৪৩ জন।