পরিযায়ীদের নাম ভোটার তালিকায় নিশ্চিত করার দাবি তৃণমূলের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গে যে নির্দিষ্ট সময়েই নির্বাচন হবে তা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর এদিন ছিল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠক। যে বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয়ই ছিল আগামী রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন।
সেই বৈঠকেই এদিন রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে যোগ দেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ও তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির জয়প্রকাশ মজুমদার ও প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বামেদের রবীন দেব ও সুভাষ নস্কর এবং কংগ্রেসের ঋজু ঘোষাল ও সৌম্য আইচ।
বৈঠকে তৃণমূলের তরফে সব থেকে বেশি জোর দেওয়া হয় নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রস্তুত করার জন্য। পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যাযের আরও দাবি, রাজ্যে বহু পরিযায়ী শ্রমিক এসেছেন। এমন অনেকে রয়েছেন যাঁরা হয়ত এখানে থাকতেন না বহু বছর। ফলে এখানকার তালিকায় তাঁদের নাম নেই। আবার গঙ্গা ভাঙনের ফলে অনেকের ঠিকানা বদলেছে। এহেন সকলের নাম চূড়ান্ত তালিকায় থাকবে বলে আশা করি।
অন্যদিকে, বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিপিআইএম নেতা রবীন দেব বলেন, ‘৭৮৯০৩ টি বুথে যাতে বুথ কর্মীরা ঠিকমত বসে কাজ করতে পারেন, সেটা নজর রাখতে হবে। নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি করতে হবে। যা কমিশনের দায়িত্ব। ভোটার তালিকা তৈরির সময় সকাল ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত বিএলও’রা থাকবেন।
কমিশন জানিয়েছে, তার প্রেক্ষিতে তাঁরা জানিয়েছেন, এই কাজে স্থায়ী কর্মচারীর নিয়োগ করতে হবে। ভুতুড়ে ভোটারদের নাম বাদ দিতে হবে। কোনও অজুহাতে কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ দেওয়া যাবে না। মালদা ও মুর্শিদাবাদের গঙ্গা ভাঙনের জন্য ভোটারদের ঠিকানা পাল্টে যাচ্ছে, এখানে বিএলআরওদের সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। যদি একজন আবেদনকারী নাম বাদ যায় তাহলে তাকে জানাতে হবে কেনও তাঁর নাম বাদ গেল।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/bihar-election-result-tejaswi-birthday-celebration/
৩ ধরনের ভোটার কার্ড নিয়ে যে সমস্যা আছে, সেই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে সুস্পষ্টভাবে জানাতে হবে, যে কোন ভোটার কার্ডের ভোটাররা ভোট দেবে। ২৩ টা জেলা থাকলেও নির্বাচনের ক্ষেত্রে ২৪টা জেলা সব জেলাগুলোতেই এই বিষয়ে যত্নবান হতে হবে’।বিএলও-র দায়িত্ব যেন স্থায়ী সরকারি কর্মীদেরই দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করার দাবি জানান বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘রাজ্যের সরকারি কর্মীদের সরকার যে ভাবে গ্রাস করা হয়েছে তাতে তাঁরা নিরপেক্ষ হয়ে নির্বাচনে কাজ করতে পারবেন তো? যে ভাবে জেলাশাসক বদল হচ্ছে তাতে আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে।’