এবার দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়ল বার্ড ফ্লু
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনার মাঝেই ছড়িয়ে পড়েছে বার্ড ফ্লু আতঙ্ক। দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতো এবার দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রেও ছড়িয়ে পড়ল এই রোগ। এর আগে উত্তরপ্রদেশ, কেরালা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা এবং গুজরাটে বার্ড ফ্লু-এর কারণে কয়েক হাজার হাঁস মুরগী সহ পাখির মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার এই রোগের ভ্যাকসিন নিয়ে আলোচনায় কৃষি বিষয়ক সংসদীয় কমিটি, প্রাণী সংরক্ষক মন্ত্রকের সিনিয়র অফিসারকে তলব করেছেন। সোমবার দুপুর ৩ টে থেকে শুরু হবে বৈঠক। এখনও অবধি দেশজুড়ে প্রায় ৪ লক্ষের বেশী পাখির মৃত্যু হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর এবং ছত্তিসগড়ে জারি হাই এলার্ট।
ইতিমধ্যেই দিল্লিজুড়ে পল্ট্রি মার্কেট বন্ধ করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে গাজিপুরের পল্ট্রি মার্কেট। শনিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দি কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, রোগের উপসর্গ খতিয়ে দেখার জন্য প্রত্যেকটি জেলায় র্যাপিড রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। সমস্ত বাজার গুলির ওপর রাখা হচ্ছে বিশেষ নজর।
রাজধানী মুম্বই থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে মহারাষ্ট্রের পারভানীতে ছড়িয়ে পড়েছে এই রোগ। গত দুই দিনে প্রায় ৮০০ পাখির মৃত্যু হয়েছে এই রোগে। মুরুম্বা গ্রামের ৮ টি পল্ট্রি ফার্মে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। মৃত পাখিগুলিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই রোগের প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সোমবার বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধভ ঠাকরে।
আরও পড়ুনঃ করোনাকালে চার রাজ্যে নতুন করে বার্ড ফ্লু আতঙ্ক
গত সপ্তাহে কেরলে এই রোগে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১২ হাজার পাখির। তাঁদের সকলের শরীরে অ্যাভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জার এইচফাইভএনএইট স্ট্রেন লক্ষ্য করা গিয়েছে। রাজ্যের মধ্যে বেশী সংখ্যায় আলাপুজ্জা এবং কোট্টায়াম জেলায় এই রোগ ধরা পড়েছে। পল্ট্রি জিনিসপত্র বিক্রির ক্ষেত্রে নজরদারি রাখা হচ্ছে।
গত সপ্তাহে হরিয়ানার পঞ্চকুলা জেলায় ১.৬ লক্ষ পাখির মৃত্যু হয়েছে। গত তিন সপ্তাহে এই রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৪ লক্ষের বেশী পাখির। দেশের সমস্ত রাজ্যের মুখ্যসচিবদের বিশেষ নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। কোনও ভাবেই যাতে না এই রোগ মানুষের মধ্যে প্রবেশ করে সেই বিষয়ে বিশেষ নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। সমস্ত বাজার, চিড়িয়াখানা, পল্ট্রি ফার্মগুলিতে বিশেষ নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
মৃত পাখিগুলিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। পিপিই ব্যবহারের নির্দেশ রয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের।