টিকটক ব্যান, অভিষেকের নিশানায় প্রধানমন্ত্রী
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ চিনা অ্যাপ ব্যান, কেন্দ্রের এই দ্বিচারিতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ অভিষেকের
মোদি সরকারের দ্বিচারিতা নিয়ে অবার সরব হলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তথা ডায়মণ্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
দেশের নিরাপত্তা ও অখণ্ডতার পক্ষে বিপজ্জনক আখ্যা দিয়ে টিকটক, জেন্ডার, ভিগো, ইউসি ব্রাউজার্স সহ চিনের ৫৯ অ্যাপকে নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক। এই ঘটনায় দেশজুড়ে মানুষ মোদি সরকারের পিঠ চাপড়াচ্ছে।
ঠিক তখনই টিকটকে প্রধানমন্ত্রীর প্রচারকে ঘিরে তাঁকে কটাক্ষ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কেন্দ্রের চিনা অ্যাপ ব্যানের তিনি বিরোধীতা করেননি। তবে প্রধানমন্ত্রীর চিনা অ্যাপের প্রতি প্রেম নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি।
তাঁর একটি ভিডিয়ো তুলে ধরে মূল্যবান দ্বিচারিতার প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে। তাঁর প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর মোদির ভিডিয়ো প্রচারিত হচ্ছে টিকটকে আর দেশের সরকার ব্যানড করছে সে টিকটকের মতো চিনা অ্যাপস কে! এটা কী ভন্ডামি নয়।
দেশের প্রধানমন্ত্রীর বা সরকারের যদি ওই চিনা অ্যাপস নিয়ে এতই মাথা ব্যাথা হয় তাহলে তার ব্যবহার বন্ধ করার পদক্ষেপটা তাঁরা নিজেরাই আগে করুন, তারপর না হয় তা জনগনের ওপরে আরোপ করবেন।
এবার মাত্র ১৯ দিনেই ২ লক্ষ ‘বাংলার যুবশক্তি’
লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চিনের মধ্যে সেনা সংঘর্ষের জেরে ৫৯টি জনপ্রিয় অ্যাপসকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। মোদি সরকারের এমন ‘হাস্যকর’ সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরাও।
তাঁদের মতে, ‘গালওয়ান সংঘর্ষের পরেই চিনের মোবাইল অ্যাপগুলি দেশের নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে এমন যুক্তি হাস্যকর বাদে কিছুই নয়। এখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন।
দেখার বিষয় এটাই এই কটাক্ষ বাণ কীভাবে সামাল দেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। সব চেয়ে বড় কথা যে চিনা-ভারত সেনা সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই অ্যাপস গুলিকে ব্যানড করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সেই ঘটনায় দেশের ২০জন সেনা নিহত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীকে শোকবার্তা জ্ঞাপন করতে দেখা গিয়েছিল টিকটকে যা এখন ব্যানড হওয়া অ্যাপসগুলির মধ্যে শীর্ষেই রয়েছে। আর একেই হাতিয়ার করেছেন অভিষেক।