টিকটক এবং উইচ্যাটে নিষেধাজ্ঞা ! দাদাগিরি চালাচ্ছে আমেরিকা, দাবি চিনের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দাদাগিরি চালচ্ছে আমেরিকা। টিকটক এবং উইচ্যাটে নিষেধাজ্ঞা জারির পরেই দাবী করে বসল চিন। কোনও কারণ ছাড়াই বন্ধ করা হয়েছে অ্য়াপগুলি। এমনটাই দাবী করে আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি চিনের।

চিনের বাণিজ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এরকম হটকারি সিদ্ধান্ত না নিয়ে বরং আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী সুষ্ঠভাবে পদক্ষেপ নিক আমেরিকা।

আরও বলা হয়, যদি আমেরিকা এভাবেই না জানিয়ে কোনও পদক্ষেপকে মেনে নেবে না চিন। প্রয়োজনে কোম্পানিদের অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য যা করনীয় তা করা হবে।

কিছুদিন আগে লাদাখের উত্তপ্ত পরিস্থিতির পর চিনা অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করে আমেরিকা। এবার সেই পথে হেঁটে টিকটকে নিষেধাজ্ঞা জারি করল আমেরিকা।

শুক্রবার ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, এই অ্যাপ আমেরিকানরা আর ব্যবহার করতে পারবেন না। বলা হয়, দেশের জাতীয় নিরাপত্তায় হস্তক্ষেপ করছে টিকটক এবং উইচ্যাট। তাই জনগণের স্বার্থে এই অ্যাপ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল সরকার।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/al-queda-module-busted-in-bengal-and-kerala-nine-arrested/

যদিও বেশ কয়েকদিন ধরে টিকটক অ্যাপ প্রস্তুতকারক বাইটডান্সের সঙ্গে আমেরিকার ওয়াকেলের সঙ্গে কোনও চুক্তি হবে কিনা সেই বিষয়ে বিস্তর আলোচনা চলছিল। আপাতত সেই জল্পনায় জল ঢেলে সিদ্ধান্ত নিল মার্কিন প্রশাসন।

ব্যক্তিগত তথ্যে নজদারীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাইটডান্সের সিইও কেভিন মায়ের। টিকটক চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারে কারোর ব্যক্তিগত অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হয়নি, দাবী মায়েরের।

প্রসঙ্গত, করোনা সহ একাধিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে চিনের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক ক্রমশ তলানিতে ঠেকছিল। সেই আবহেই চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করায় দুই দেশের সম্পর্কের তিক্ততা আরও বাড়তে শুরু করে।

আমেরিকার তরফে বলা হয়, এই অ্যাপ ব্যবহারকারীদের লোকেশান ডেটা, ব্রাউজিং হিস্ট্রি সহ একাধিক বিষয়ের ওপর নজর রাখা সম্ভব হচ্ছিল। এমনকি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছিল বলে অভিযোগ তোলে ট্রাম্প সরকার।

সম্পর্কিত পোস্ট