আগরতলায় অভিষেকের অভিযান সফল করতে নয়া স্ট্র্যাটেজি মিটিঙে তৃণমূল
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ তৃণমূলের লক্ষ্য এখন ত্রিপুরা জয়। ঘনঘন ত্রিপুরা যাচ্ছেন একাধিক হেভিওয়েট নেতৃত্ব। একটানা সেখানে কর্মী-সমর্থকদের প্রচারে কোনভাবেই যেন উৎসাহ উদ্দীপনায় ভাটা না পরে সে বিষয়ে সচেষ্ট দল। আগামী ১৬ ই সেপ্টেম্বর ত্রিপুরায় পদযাত্রায় সামিল হচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হাতে বাকি নেই বেশি সময়।
এই পরিস্থিতিতে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন এক ঝাঁক দাপুটে নেতা- নেত্রী। আজ ত্রিপুরায় এই বৈঠকে হাজির ছিলেন কুনাল ঘোষ, সুস্মিতা দেব ,আশীষ লাল সিং, সুবল ভৌমিক, মামুন খান সহ ত্রিপুরার যুব নেতারাও।
‘ত্রিপুরায় বাড়ছে এনার্জি, আসছেন অভিষেক ব্যানার্জি’ – আপাতত এই গ্যাস লাইনের ভর করেই অভিষেকের সফর সফল করতে উঠে-পড়ে নেমেছেন তৃণমূল নেতৃত্বরা। এদিনের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সকলকে আলাদা আলাদা করে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরার মাটি থেকে বিপ্লব দেব সরকারকে উৎখাত করতে সংঘবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সেই বার্তাও দেওয়া হয়েছে।
১৬ সেপ্টেম্বর দুপুর দুটোর সময় রবীন্দ্রভবন থেকে ওরিয়েন্ট চৌমহনী পর্যন্ত হবে মিছিল। মিছিল শেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে এদিনের এই ওয়ার্ম আপ ম্যাচে পারেন একাধিক বিজেপি নেতা।
রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাস, অপশাসন , বেকারত্ব এবং সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ওপর আক্রমণের মতো ইস্যুকে সামনে রেখেই লড়াইয়ের ময়দানে নামতে চলেছে তৃণমূল। এই প্রথমবার রাজধানীতে শক্তি প্রদর্শন করতে চলেছে ঘাসফুল শিবির। তাই তাতে কোনো মতেই খামতি রাখতে নারাজ নেতৃত্বরা।
অনুমতি দেয়নি পুলিশ, ত্রিপুরায় অভিষেকের পদযাত্রার তারিখ বদল
ত্রিপুরার একাধিক তৃণমূল নেতা ছাড়াও উপস্থিত থাকতে পারেন এ রাজ্যের বহু মন্ত্রী বিধায়ক এবং সাংসদরা। সুবল ভৌমিক জানিয়েছেন, ‘মানুষ পরিবর্তন চাইছেন ত্রিপুরার রাজনৈতিক পরিবেশ যথেষ্ট উত্তপ্ত। মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর জবাব ত্রিপুরার মানুষ দিয়ে দেবেন।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই আগরতলায় সিপিএমের রাজ্য দপ্তর সহ বেশ কয়েকটি পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালানো থেকে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। তার আগে হামলা চালানো হয় মানিক সরকারের কনভয়ে। এই পরিস্থিতিতে নৈতিক সমর্থন জানায় ঘাসফুল শিবির। সেই উত্তেজনার রেশ কাটতে না কাটতেই মাটিতে পা রাখতে চলেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রথমবার ত্রিপুরার সফরে পা দিয়েই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। ভাঙচুর করা হয়েছিল তার গাড়ি। এরপর এরাজ্যের ৩ যুবনেতা নেত্রীর উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটে। তাদের গ্রেফতার করে ত্রিপুরা পুলিশ।
সুদীপ দেবাংশু এবং জয়াকে বাঁচাতে ছুটে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘক্ষণ পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদ চলে তাঁর। এরপর ওই তিন জনের জামিন করিয়ে তাদের নিয়ে রাজ্যে ফেরেন অভিষেক । তাই পুরনো স্মৃতি স্মরণ করেই আগেভাগে কোমর বেঁধে ময়দানে নামতে চলেছে তৃণমূল।