সেমিফাইনালে জিততে মরিয়া বিজেপি, উপনির্বাচনে দফায় দফায় উত্তপ্ত হল ত্রিপুরা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আর ৬-৭ মাস পরই ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে কোথাও বিধায়কের মৃত্যুতে, কোথাও আবার ইস্তফা দেওয়ার কারনে ত্রিপুরার চারটে বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা থেকেই আগরতলা-৬, বরদোয়ালি, যুবরাজনগর ও সুরমায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই উপনির্বাচনকে কার্যত সেমিফাইনালের মর্যাদা দিয়েছে রাজনৈতিক মহল। ফলে ফাইনালের আগে এই সেমিফাইনাল জিততে মরিয়া সব পক্ষ। আর তাতেই সকাল থেকে রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে নির্বাচন।
ত্রিপুরার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা রাজধানী আগরতলার বরদোয়ালি কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর কেন্দ্র থেকেই সবচেয়ে বেশি অশান্তির খবর আসে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের আশঙ্কা ছিল রাজ্যে বিজেপির যা অবস্থা তাতে উপনির্বাচনে হেরেও যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই যেন বরদোয়ালিতে সকাল থেকেই যেন গেরুয়া শিবিরের বাইক বাহিনীর তাণ্ডব চলছে! ইতিমধ্যেই সিপিএম ও তৃণমূল অভিযোগ করেছে এই কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথ থেকে তাদের পোলিং এজেন্টদের মেরে বের করে দিয়েছে শাসক দল।
বিল পাসের পর আলোচনা বিধানসভাতেই হোক, বিজেপিকে তোপ তৃণমূলের
আগরতলা-৬ কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে বিজেপি থেকে কংগ্রেসে ফিরে আসা সুদীপ রায় বর্মন ইস্তফা দেওয়ার কারণে। তিনি এবার কংগ্রেসের হয়ে প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু প্রচার পর্বের শেষের দিকে বিজেপির হাতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় সুদীপকে। যদিও এই কেন্দ্রটি বরাবরই রায় বর্মন পরিবারের শক্ত ঘাঁটি। সেখানেও দফায় দফায় অশান্তিতে জড়িয়ে পড়েছে কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মীরা।
যুবরাজনগর ও সুরমায় বিজেপি প্রধান বিরোধী হিসেবে লড়াই করছে বামেরা। এই দুই কেন্দ্রে বিজেপি ও বামেদের মধ্যে ভালোমতো সংঘর্ষ হয়েছে। সূত্রের খবর বেশ কিছু জায়গায় পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে বামেরা।
রাজনৈতিক মহলে মনে করা হচ্ছে এই চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফলের উপর আগামী বছরের শুরুতে ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের ফল অনেকটা নির্ভর করবে। এখানে যদি বিজেপি ধাক্কা খায় তবে বিধানসভায় তাদের আরও চেপে ধরবে বিরোধীরা। এই বিষয়টি অনুমান করেই সম্ভবত গেরুয়া শিবির সেমিফাইনাল জিততে মরিয়া হয়ে উঠেছে।