পেগাসাস ইস্যুতে অবস্থান স্পষ্ট করুক কেন্দ্র, দাবি তৃণমূল সাংসদদের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পেগাসাস ইস্যুতে একটানা কেন্দ্রের উপর চাপ সৃষ্টি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল সহ সমস্ত অবিজেপি দলগুলি। দিনের শুরুতেই সংসদের বাইরে ধর্নায় বসেছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনও নাকি ট্যাপ করার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে সন্দেহ করছেন দলের সাংসদরা।
এই ইস্যুকে সামনে রেখে আজ দুপুরে রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং লোকসভার সাংসদ মহুয়া মৈত্র সাংবাদিক সম্মেলন করেন। একের পর এক বাক্যবাণে বিদ্ধ করেন কেন্দ্রীয় সরকারকে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন হাকের চেষ্টা করেও বিজেপি পরাস্ত হয়েছে। কমিশনসহ সমস্ত এজেন্সিকে ব্যবহার করেও পরাজিত হয়েছে বিজেপি। কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিরোধীদের গতিবিধির ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এটি খুবই উদ্বেগজনক বিষয়ে। এর সঙ্গে কোনো রকম আপস করা উচিত নয়। এমনই মন্তব্য করেন ডেরেক ও’ব্রায়েন।
সম্প্রতি মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। তাঁর কথায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষবর্ধনকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে। তৃণমূলের সাংসদদের দাবি পেগাসাস নিয়ে অবিলম্বে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করুক কেন্দ্র। অন্যথায় বিরোধিতা চালিয়ে যাবে তৃণমূল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমিক পাশের কটাক্ষ বন্ধের আবেদন মনোবিজ্ঞানীদের
মহুয়া মৈত্রের কথায় সাংবাদিক, নেতা সহ মোট ৩০০ জনের ওপর নজরদারি চালানো হয়েছে। পেগাসাস বলছে তারা শুধু সরকারকে সফটওয়্যার বিক্রি করে। কেন্দ্র তাহলে অবিলম্বে স্পষ্ট করে জানাক তাদের কোনো মন্ত্রক বা কোনো সংস্থা পেগাসাস ব্যবহার করছে কিনা।
একই সঙ্গে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও কেন্দ্র কে নিশানা করেন তারা। তাদের দাবি মোদী সরকার এখনো পর্যন্ত ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা আমজনতার থেকে তুলেছে। পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়িয়ে সেই টাকা কী কাজে ব্যবহার করা হয়েছে তা জানাতে হবে। সেই টাকা কি পেগাসাস এর কাজে ব্যবহার করা হয়েছে? এমন প্রশ্নও তুলে দিয়েছেন তারা।