দলে থাকার আশ্বাস দিয়েও ব্রাত্য জিতেন্দ্র, জল্পনা রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার সময় থেকেই দলের মধ্যে বিক্ষুব্ধ মনোভাব প্রকাশ করেছিলেন আসানসোল পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপ্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। শুভেন্দু অনুগামী হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়ে প্রথমে পুর প্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা দেন।
তারপর তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠান। একপ্রকার মনে করা হয়েছিল, তিনি হয়তো বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। তবে জিতেনের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এবং অগ্নিমিত্রা পল সরব হয়ে ওঠেন।
ধোঁয়াশা তৈরি হয় জিতেন্দ্র তিওয়ারির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কর্মপন্থা নিয়ে। এরই মাঝে তিনি কলকাতায় এসে দেখা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। দীর্ঘ বৈঠকের পর তিনি জানান, সব মিটে গেছে। দিদির সঙ্গে ছিলাম, সঙ্গে আছি। দিদির মনে কষ্ট দিয়ে আমি কোনো সিদ্ধান্ত নেব না।
জিতেন্দ্র তিওয়ারির গলায় আশ্বাসবাণী পেয়েও তৃণমূল ভরসা রাখতে পারেনি। তা স্পষ্ট রাজ্যের একের পর এক সাংগঠনিক সিদ্ধান্তেই। তৃণমূলের সঙ্গে সংঘাত মিটিয়ে বন্ধুত্বের হাত বাড়ালেও তিনি পদ ফিরে পাননি ।
সুরে ফিরতেই পুরস্কৃত শতাব্দী, পেলেন রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি পদ
এবার পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতি পদ থেকে বাদ পড়লেন তৃণমূলের একদা বেসুরো নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তার পরিবর্তে পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতি পদে এলেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অপূর্ব মুখোপাধ্যায়। নতুন জেলা কমিটিতেও জায়গা হয়নি জিতেন্দ্রর।
কিন্তু কেন জেলার সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে? তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, জিতেন্দ্র তিওয়ারি এখনো পর্যন্ত তার ইস্তফাপত্র ফিরিয়ে নেননি। তাই দলের তরফে এই সিদ্ধান্ত।
আগের মতোই জেলার চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন মলয় ঘটক। পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি, আসানসোল পুরসভার প্রশাসক থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর সেই শূন্যস্থান ভরাট করা হয় কুলটির বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়কে দিয়ে।
দুর্গাপুর পূর্ব ও পশ্চিমের কো-অর্ডিনেটর এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিধায়ক বিশ্বনাথ পারিয়ালকে। হরেরাম সিংহকে রানীগঞ্জ এবং জামুড়িয়ার কো-অর্ডিনেটর করা হয়েছে। আসানসোলের উত্তর এবং দক্ষিণ বিধানসভা কো-অর্ডিনেটর এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভি শিবদাসন কে।