West Bengal Assembly Election 2021- মিথ্যা তথ্য পেশ করেছেন TMC প্রার্থী, কমিশনের দ্বারস্থ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নন্দীগ্রামের পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচনে গোটা রাজ্যবাসী নজর রয়েছে হাওড়াতেও। কারণ হাওড়ার একটি বৃহৎ অংশের জনসমর্থন সহ সেখানকার নেতৃত্বদের নিয়ে জানুয়ারিতেই বিজেপিতে যোগদান করেছেন দাপুটে নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিগত দুই বারের মত এবারও জার্সি বদলের পরেও ডোমজুড় থেকেই নির্বাচনে লড়াই করবেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে অবশ্য ডোমজুড়বাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ডোমজুড়ে প্রার্থী হয়েছেন কল্যান ঘোষ।
তবে প্রথম দফার নির্বাচন শুরুর ঠিক ৭২ ঘণ্টা আগে কল্যাণ ঘোষের প্রার্থী পদ বাতিলের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলেন ডোমজুড়ের বিজেপি প্রার্থী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে তিনি জানিয়েছেন মনোনয়নে তৃণমূল প্রার্থী তার পরিচয় নিয়ে তথ্য গোপন করেছেন।
ডোমজুড়ে তৃণমূল প্রার্থী তাঁর প্রচার এর ব্যানার থেকে শুরু করে দেওয়াল এবং সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন জায়গাতে নাম লিখছেন কল্যান ঘোষ। তবে তিনি হলফনামায় সই করেছেন কল্যানেন্দু ঘোষ নামে। শুধু তাই নয় যে স্ট্যাম্প পেপারে উনি মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সেটিও কেনা হয়েছে কল্যাণ ঘোষের নামেই।
কেজরিওয়ালের পাশে দাঁড়াতে দিল্লি ছুটলেন তৃণমূল সাংসদরা
তৃণমূল প্রার্থীর নাম বিভ্রাটে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন রাজ্যের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায় নির্বাচনের আগেই তিনি হলফনামায় মিথ্যে তথ্য প্রদান করেন তারা আর জনগণের জন্য কি কাজ করবেন।
উল্লেখ্য, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে মনোনয়নের তারিখ বিভ্রাটের জেরে ইতিমধ্যেই প্রার্থীপদ বাতিল হয়ে গিয়েছে পুরুলিয়ার জয়পুরের তৃণমূল প্রার্থী উজ্জ্বল কুমারের। সেখানে জনসভা করতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন ওই আসনে নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করবে তৃণমূল।
তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এহেন অভিযোগ যুক্তিসংগত হলেও কমিশনের কাছে তা কতটা গ্রহণযোগ্য হবে সেটা নিয়ে সংশয় থেকেই গেল। তার কারণ অনেক সময় প্রচারের ক্ষেত্রে প্রার্থী নিজের পুরো নাম ব্যবহার করেন না। বা প্রকাশ্যে আসে না প্রার্থীর আসল নাম।
উদাহরণস্বরূপ দেখানো যেতে পারে বারাসাতে তৃণমূল প্রার্থী চিরঞ্জিত ও ঘাটালের সাংসদ দেবের কথা। একইভাবে দমদমের তৃণমূল প্রার্থী ব্রাত্য বসু নিজেও তার পুরো নাম ব্যবহার করেন না। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের সময় নামবিভ্রাট হয়েছিল তৃণমূল প্রার্থী মমতা বালা ঠাকুরের ক্ষেত্রেও।
যদিও এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে তৃণমূলের তরফে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এখন দেখার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন কি পদক্ষেপ নেয়।