‘যশ’-র আতঙ্কে কাঁপছে বাংলা, বিপুল ক্ষতির সম্ভাবনায় মাথায় হাত চাষীদের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গত বছররের আমফানের ভয়াবহতাকে কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার আসতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় যশ। যা নিয়ে প্রশাসনিক তৎপরতা রয়েছে তুঙ্গে। একে লকডাউন তার উপর আমফানের ভয়াবহতাকে কাটিয়ে উঠে চাষীরা আবার ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছিল। সেই মুহুর্তেই হাজির হয়েছে যশের ভ্রুকুটি।
গতবছরের আমফানের ফলে বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর, বসিরহাট-১, বসিরহাট -২, বাদুড়িয়া, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, মিনাখাঁর মতো বিস্তীর্ন অঞ্চলের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেইসঙ্গে ছিল লকডাউন। এবারও দুশ্চিন্তায় দিন গুনছে বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবনের চাষীরা।
এক অসহায় চাষীর কথায়, গতবছর আমফানের ঝড়ে বিপুল পরিমাণে ফসল নষ্ট হয়েছিল। ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছিল। আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছিলাম। এরপর মহাজনের কাছ থেকে আবার টাকা ধার নিয়ে কোন রকমের শুরু হয়েছে চাষের কাজ। যদি এই ঝড় আবার আমাদের উপর আঘাত আনে তাহলে আমাদের বাঁচার কোন রাস্তা থাকবে না।
নারদাকাণ্ডে আরও একবার আইনি জটিলতা, বুধবার ফের শুনানি
এক আম চাষীর কথায়, এবছর আমের ফলন হয়েছে খুব। কিন্তু করোনার কারণে গোটা রাজ্য লকডাউন চলছে। গাছ থেকে আম পেরে বাজারে নিয়ে যাওয়ার মতন উপায় নেই। বাজার খোলা মাত্র তিন ঘন্টা। তাই আম বিক্রি হচ্ছে না। যেটুকু বিক্রি হচ্ছে তাতে দাম পাচ্ছি না। আম পেকে গাছেই পচে যাচ্ছে। এক বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে আমাদের।তাদের আর্জি সরকার তাদের দিকে একটু নজর দিক।
গতবার আম্ফান ঝড়ে কোন ফসল বাঁচাতে পারেননি চাষীরা। নদী বাঁধ ভেঙে নোনাজল প্রবেশ করেছিল পাট ক্ষেতে। ফলে সমস্ত পাট নষ্ট হয়ে যায়। সোনাদানা বন্ধক দিয়ে আবার নতুন করে চাষবাস শুরু করেছিলেন চাষীরা। ফের যশের আতঙ্কে জেরবার কৃষকরা।