গোটা দেশের পর এবার রাজ্যের কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সরব কৃষকসভার রাজ্য সম্পাদক অমল হালদার

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২০২০ সালে তিনটি কৃষি আইন প্রণয়ন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকার।
তিনটি কৃষি আইন যথাক্রমে— ১) কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্যে ব্যবসা ও বাণিজ্য সংক্রান্ত আইন ২) অত্যাবশ্যক পণ্য আইন এবং ৩) কৃষি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ এবং কৃষি পরিষেবা সংক্রান্ত কৃষক চুক্তি আইন। এই তিন কৃষি আইন প্রণয়ণের পরই সেগুলির বিরোধিতা করে তীব্র প্রতিবাদ জানান ভারতের কৃষকেরা।

গুরু নানকের জন্মদিনেই বড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী।আজ সকাল থেকে সিঙ্ঘু সীমান্তে বইছে খুশির হাওয়া৷ বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিচ্ছে কেন্দ্র৷ আন্দোলনকারীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য সৎ ছিল৷ কিন্তু কৃষি আইনের সুফলের কথা আমরা কয়েকজন কৃষককে বোঝাতে পারিনি৷’

রাজধানীর ‘তখত’ থেকে মোদী উচ্ছেদ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরতে পারেন বরুণ

এরই প্রেক্ষিতে আমরা কথা বলেছিলাম, কৃষকসভার রাজ্য সম্পাদক অমল হালদারদ্য কোয়ারিকে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি জানান,  ” প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় ভারতবর্ষের কৃষকদের নৈতিক জয় হল। গোটা একটা বছর ধরে এই আন্দোলন চালিয়ে এসেছেন কৃষকরা। বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হয়েছেন তারা। তা সত্বেও লক্ষ্যচ্যুত হননি। দিল্লির উপকণ্ঠে শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়েছেন।

তিনি বলেন, “কৃষকদের লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে আমরাও মাঝেমাঝে কৃষকদের সমর্থনে হাজির হয়েছি। সেখানে কৃষক আন্দোলনে অংশ নিয়ে দিনের পর দিন অবস্থান বিক্ষোভে থেকে প্রাণ হারিয়েছেন অনেক কৃষক। আজকে এই বিল প্রত্যাহারের দিনে তাদেরকে আমরা শ্রদ্ধা জানাই।”

অমল হালদার বলেন, “আজ নরেন্দ্র মোদি সরকার ঘোষণা করেছেন কৃষি বিল প্রত্যাহার করা হবে বলে। আমরা চাই দ্রুত অর্ডিন্যান্স জারি করা হোক। একইসঙ্গে রাজ্য সরকারের প্রতি আমাদের আবেদন থাকবে ২০১৪ এবং ২০১৭ সালে যে আইন তারা করেছিলেন তা প্রত্যাহার করতে হবে।”

সম্পর্কিত পোস্ট