দুয়ারে সরকারের কায়দায় দুয়ারে ত্রাণ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২০২০ সালে ‘আমফান’ সুপার সাইক্লোনের প্রভাবে রাজ্য লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। আর সেই পরিস্থিতি সামলাতে ও মানুষকে সাহায্যে করতে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বাড়ি ভাঙাদের ছাদ করতে, ত্রাণ কাজে ত্রিপল ও চাল-ডাল সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য পঞ্চায়েত-এর মাধ্যমে পরিষেবা দেওয়ার প্রক্রিয়া করেন মমতা।

কিন্তু তাতেই সার হয়, দিকে দিকে ত্রিপল চুরি, ত্রাণের চাল চুরি ও ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা ঝেপে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। পরিস্থিতিকে হাতিয়ার করে ২১-এর ভোটে ইস্যু করতে রাস্তায় নামে বিজেপি।

তাই সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা পেয়ে এবার সরাসরি ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িতে বাড়িতে পরিষেবা দেওয়ার ঘোষণা মমতার। বৃহস্পতিবার নবান্নে ‘যশ’ পরবর্তী রিভিউ মিটিং বসে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, আগামী ৩ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্পের। ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িতে বাড়িতে ত্রিপল, চাল-ডাল পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন।

এখানে কোনও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের সুযোগ থাকবে না। ত্রাণ নিয়ে যাতে আর বিক্ষোভ বা চুরির ঘটনা না সৃষ্টি হয় তাই এবার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে হবে নিজেকেই। নাগরিকের দবির সত্যতা যাচাই করে সরকার টাকা দেবে।

অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে: মুখ্যমন্ত্রী

সেজন্যই এই প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরই সঙ্গে এদিন তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১৮ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ‘যশ’ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদন গ্রহণ করা হবে ও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ ও স্ক্রুটিনি করে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় যশ-এর কবলে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ কিছু জেলার মানুষের। যশ বিদায় নিতেই বিপর্যস্ত এলাকার বাসিন্দাদের দুয়ারে ত্রাণ পৌঁছে দেবে সরকার, এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই কাজের জন্য তাঁর সরকার ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী ১৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে রাজ্যে। এই পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। সেটা আগামী কয়েক দিনে স্পষ্ট হবে। আগামী ৩ জুন থেকে ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্প শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মমতা। চলবে ১৮ জুন পর্যন্ত।

মমতা আরও বলেন, প্রতিটি গ্রামে গ্রামে ক্যাম্প করবে সরকার। সেখানে গিয়ে সাধারণ মানুষ ক্ষতিপূরণের আবেদন করতে পারেন। এই আবেদন খতিয়ে দেখা হবে ১৯ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত। তার পরে ১ জুলাই থেকে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণের টাকা পৌঁছে যাবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।

সম্পর্কিত পোস্ট