তদন্ত রিপোর্ট কই ? কেন মমতা নীরব প্রশ্ন সিপিআইএমের

দ্য কোয়ারি ডেস্ক: কী ঘটেছিল সেদিন?কেন ততকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা আজকের মুখ্যমন্ত্রী ২১ জুলাই গুলি চালনা নিয়ে নীরব, প্রশ্ন তুলছে গত বাম জমানার প্রধান শরিক দল সিপিআইএম। তখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতি বসু। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী নেত্রী হিসেবে উঠে এসেছিলেন।

১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই পুলিশের গুলিতে ১৩ জন কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন রাজ্যের যুব কংগ্রেস জ্বালানি ভাষণের নেত্রী।

বিরোধী দল কংগ্রেসের শাখা সংগঠন যুব কংগ্রেসের ডাকে সচিত্র পরিচয় পত্রের দাবিতে মহাকরণ অভিযানের সময় বিশৃঙ্খলার রুখতে গুলি চালায় পুলিশ। গুলিতে কংগ্রেস কর্মীদের মৃত্যু হয়। এই রক্তাক্ত ঘটনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক মোড় বলেই মনে করা হয়।

রাজ্যে তখন ভরা বাম জমানায়।বিরোধী দল ছিল কংগ্রেস। সচিত্র পরিচয় পত্রের দাবিতে মহাকরণ অভিযানের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন যুব কংগ্রেসের ১৩ জন কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল।

শহীদ দিবস পালনে কোচবিহারে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, পার্থর তোলা পতাকা নামিয়ে দিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ !

প্রায় ১৭ বছর পর ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তার পরে তিনবার তিনি পরপর মুখ্যমন্ত্রী। সিপিআইএম সহ বামেরা শূন্য রাজ্যে। এর পরেও একদা ৩৪ বছর টানা সরকারে থাকা বামেরা দাবি করেছে ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ হলেই মমতার মুখোশ খুলে যাবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। ক্ষমতায় আসার পর ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। ততকালীন স্বরাষ্ট্রসচিব মনীশ গুপ্ত এখন মমতার অনুরাগী কর্মী। রিপোর্ট বের হয়নি। দিনটি কংগ্রেসের থেকে ছিনিয়ে টিএমসি পালন করে প্রতিবছর।

১৯৯৩ সালের ২১ জুলাইয়ের ঘটনার পর থেকে প্রতি বছর এই দিনটি শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে তৃণমূল। সিপিআইএমের দাবি, সেদিন আন্দোলনের নামে লুঠপাট করা হয় মমতার নির্দেশে।

সম্পর্কিত পোস্ট