তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদলের মধ্যেই লুকিয়ে কারা কারা নতুন মন্ত্রী হতে পারেন?

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে বিতর্কের মধ্যেই দলকে বড় ঝাঁকুনি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মিলে তৃণমূলের সাংগঠনিক স্তরে বড় রদবদল ঘটালেন। একইদিনে রাজ্য মন্ত্রিসভার বড় রদবদলের কথাও ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।  বুধবার ৫-৬ জন নতুন মন্ত্রী শপথ নেবেন। কিন্তু কারা নতুন মন্ত্রী হবেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।

রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক রদবদলের মধ্যেই নতুন মন্ত্রী কারা হবেন তার উত্তর লুকিয়ে আছে। ব্যাপারটা কেমন?

দমদম-ব্যারাকপুর সংগঠনিক জেলার সভাপতি পদে ছিলেন পার্থ ভৌমিক। তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গেই এই দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর হাত ধরে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল অনেকটাই শান্ত হয়েছিল। তবু সোমবারের রদবদলে বাদ পড়েছেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ। যদিও তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, আসলে আরও বড় পুরস্কার পেতে চলেছেন তিনি। সম্ভবত বুধবার গুরুত্বপূর্ণ ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন পার্থ ভৌমিক।

এই রদবদলে উত্তর কলকাতার জেলা সভাপতি পদে। সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কেই রেখে দেওয়া হয়েছে জল্পনা থাকা সত্ত্বেও দায়িত্ব পাননি বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়। সুত্রের খবর গুরুত্বপূর্ণ পরিষদীয় মন্ত্রকের দায়িত্ব পেতে পারেন অভিজ্ঞ তাপসবাবু। এদিনের রদবদলে তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদে থেকে গিয়েছেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র।

ঝাড়খণ্ডে বিজেপির টাকার খেলা শুরু? হাওড়ায় কংগ্রেস বিধায়কদের ধরা পড়া কী তার‌ই প্রমাণ

তৃণমূলের একটি অংশের মতে, রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদলে বাদ পড়তে চলেছেন তিনি। তবে অনেকেই একে ডিমোশন বলে দেখতে রাজি নন। তাঁদের মতে, শুভেন্দু অধিকারীর জেলাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল। তাই ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ঘর গোছানোর জন্য তাঁকে আপাতত শুধু সংগঠনের কাজে ব্যবহার করা হতে পারে।

আবার কোচবিহারের জেলা সভাপতি পদ থেকে প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়কে প্রত্যাশামতই সরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তাঁর জায়গায় বড় কোন নাম নয়, তুলনায় কম পরিচিত অভিজিৎ ভৌমিককে জেলা সভাপতি করা হয়েছে।

সূত্রের খবর উপনির্বাচনের রেকর্ড মার্জিনে জেতার পুরস্কার পেতে চলেছেন উদয়ন গুহ। তাই তাঁকে সাংগঠনিক দায়িত্ব না দিয়ে মন্ত্রিসভায় আনতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি হিসেবে স্নেহাশিস চক্রবর্তী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তার বদলে প্রথমবারের বিধায়ক চাঁপদানির অরিন্দম গুঁইনকে জেলা সভাপতি করা হয়েছে। অনেকে মনে করছেন মৃদুভাষী স্নেহাশিস চক্রবর্তী রাজ্যের মন্ত্রী হতে পারেন।

একাংশ আবার মনে করছেন রাজ্য মন্ত্রিসভায় প্রত্যাবর্তন ঘটতে পারে মদন মিত্রের। তাঁকে অত্যন্ত স্নেহ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর মন্ত্রিসভা গঠনের সময় তিনি মদন মিত্রকে নেননি। তবে এবারের রদবদলে মদন জায়গা পেতে পারেন বলে একাংশের ধারণা।

সম্পর্কিত পোস্ট