রাজ্যের বাইরে যেতে পারে নারদকাণ্ড?

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শুক্রবার চার নেতা ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখার্জী, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে অন্তবর্তীকালীন জামিনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু মামলা কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ থেকে ভিন রাজ্যে নিয়ে যেতে চায় সিবিআই। তার জন্য সিবিআই হাতে রয়েছে নিজাম প্যালেসের ইস্যু।

১৭ মে নারদকাণ্ডে চার নেতাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এরপরেই নিজাম প্যালেসে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। নিজাম প্যালেসের বাইরে জমায়েত থেকে ঢিল ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ৷ এই ঘটনাকে কারণ দেখিয়ে নারদকাণ্ডের তদন্ত সম্ভব নয় বলে দাবী করছে সিবিআই। সিবিআইয়ের তরফে মামলা ভিন রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
যদিও সোমবারও এবিষয়ে আদালতের তরফে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার বেলা ১১ টা থেকে শুরু হবে মামলার শুনানি।

সোমবার শুনানির শুরুতে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, বৃহত্তর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে না। এর জন্য তিনটি কারণ উল্লেখ করেন তিনি। এক, ১৭ মে সব পক্ষের মতামত শোনা হয়নি। সকলের মতামত না শুনেই রায় দেওয়া হয়েছিল। দুই, মামলার স্থানান্তরের আবেদন আদালত গ্রহণ করতে পারে না। মামলার স্থানান্তরের নির্দেশ আদালত করতে পারে না। যা নিয়ে আদালতের এজলাস্ব গরমাগরম পরিস্থিতি হয়ে ওঠে। এই মামলার শুনানি বৃহত্তর বেঞ্চে হওয়ার কথা নয় বলে দাবী করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল।

বিচারপতি সোমেন সেন বলেন, মামলা নিয়ে যখন সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই গিয়েছিল তখন কেন কিছু বলা হয়নি? মামলার শুনানির এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কেন? বিষয়টি যেহেতু সামনে এসেছে তাই পিছোতে পারি না। বিচারের পর শুনানির এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন।

অন্যদিকে, তুষার মেহতা বলেন,আমরা আবেদনকারী। আমাদের মতামত প্রকাশের সুযোগ দেওয়া হোক। আমরা যা দাবী করেছি তা অনলাইনে জমা দিয়েছি। কিন্তু এখনও তা বিচারপতির বেঞ্চে উপস্থিত হয়নি।

তুষার মেহতার এই মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, যতই সময় যাচ্ছে ততই আবেদনের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে।

উল্লেখ্য, ১৭ মে সিবিআইয়ের গ্রেফতারির পর শুক্রবার অন্তবর্তীকালীন জামিন পান ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখার্জী, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়রা। ২ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডের বিনিময়ে জামিন পান চার নেতা। শর্ত হিসাবে বলা হয় নারদকাণ্ড নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে পারবেন না চার নেতা।

সম্পর্কিত পোস্ট