জোট সঙ্গীকে বাদ দিয়েই মোদী-মমতা বিরোধিতা পথে নামছে বামেরা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  কংগ্রেস ও আইএসএফকে ছাড়াই পথে নামছে বামফ্রন্ট। তাতেই শীলমোহর দিল রাজ্য বামফ্রন্ট। ২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনে জোট নিয়ে বিতর্ক হয়েছে বারবার। একে অপরকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি কেউ। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লাগামছাড়া পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বামফ্রন্ট পথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আগামীদিনে জোট থাকবে কিনা তার উত্তর স্পষ্ট না মিললেও এই বাংলায় নতুন করে বামফ্রন্ট গণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাদের মাটি ফিরে পেতে চাইছে তা স্পষ্ট। একদিকে যেমন বিজেপি বিরোধী আন্দোলন, অন্যদিকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বামফ্রন্ট।

বেশ কয়েকদিন ধরেই আলিমুদ্দিনের অন্দরে জোট নিয়ে কাটাছেড়া হয়েছে শরিকদের সঙ্গে। সিপিএমের ভিতরে ক্রমাগত দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। তাই তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বামফ্রন্ট। এই মুহূর্তে মানুষের পাশে না দাঁড়ালে বামফ্রন্টের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে বলে মনে করছেন অনেকে।

একুশের ভরাডুবিতে বাম কংগ্রেসের আসন না পাওয়া ও একটিমাত্র আসন আইএসএফের পাওয়া নিয়ে দুই দলের মধ্যে বিতর্ক অব্যাহত ছিল। নির্বাচন ঘোষণার পর এবং নির্বাচনের ফলাফলের পর প্রায় দেড় মাস হতে চলল বামফ্রন্ট এখনও রাস্তায় নামেনি।

তাই বাধ্য হয়ে মূল্যবৃদ্ধির মত ইস্যুকে সামনে রেখে এবং কর্মসংস্থানের চাহিদার কথা মাথায় রেখে একদিকে মোদী বিরোধিতা ও অন্যদিকে মমতা বিরোধিতায় সমান ভাবে আন্দোলনে নামতে চাইছে রাজ্য বামফ্রন্ট। এখন দেখার খাদের কিনারায় থাকা বামফ্রন্ট কতটা ঘুরে দাঁড়াতে পারে।

কারণ পুর নির্বাচনকে সামনে। নির্বাচনের আগে বামফ্রন্ট যদি জনমানসে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে তাহলে হয়তো কিছুটা ক্ষতে প্রলেপ দিতে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বামপন্থীদের একাংশ।

যেসব এলাকায় সংক্রমন বেশী, সেখানে হবে কনটেন্টমেন্ট জোন, কোভিড রুখতে কঠোর পদক্ষেপ

কোন নরম মনোভাব নয় এখন দরকার আন্দোলন। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারর রক্ষার ইস্যুকে সামনে রেখে বাংলার মানুষের কাছে বামফ্রন্ট নতুন করে পৌঁছতে চাইছে। কলকাতা থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তরে বাম সমর্থিত কর্মীদের মনোবল একেবারে তলানীতে। তাই আলিমুদ্দিনের নেতাদের ওপর ভরসা রাখতে চাইছেন না বর্তমান প্রজন্মের অনেক বামপন্থীই।

তাই বিভিন্ন ইস্যুতে মানুষের কাছে নতুন করে কীভাবে পৌঁছানো যায় তা নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে। নির্বাচনী ফল ঘোষণার পর থেকেই নবীন প্রজন্মের দাবি’ ছিল  যত দ্রুত সম্ভব রাস্তায় নামা। নাহলে পিছিয়ে পড়তে হবে। তাই জোট সঙ্গীকে না নিয়েই নতুন করে বামফ্রন্ট পথে নামতে চাইছে।

সামনে বর্ষা। একদিকে করোনা অন্যদিকে লকডাউন। এই সমস্ত ঘটনাকে সামনে রেখে কতটা মানুষের কাছে পৌছানো যায় সেটাই বামপন্থীদের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

সম্পর্কিত পোস্ট