Saudi Yemen Conflict: আবুধাবির ড্রোন হামলার পাল্টা ইয়েমেনের কারাগারে মিসাইল ছুঁড়ল সৌদি জোট!

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আরব আমিরশাহির আবুধাবিতে ইয়েমেনের বিদ্রোহী হুথি বাহিনীর ড্রোন হামলায় দুই ভারতীয় সহ তিন জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পরই ইয়েমেনে বিমান হামলা আরও বাড়িয়েছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট।

ইয়েমেনের কারাগারে মিসাইল

উল্লেখ্য সৌদির নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটে আছে আরব আমিরশাহিও। সেই কারণেই যে আবুধাবিতে ড্রোন হামলা করা হয়েছিল সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছে হুথিরা। এবার জানা গেল ইয়েমেনের একটি কারাগারের উপর বিমান থেকে মিসাইল ছুঁড়েছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। ইয়েমেনের কারাগারে মিসাইল ছোঁড়ার এই ঘটনায় কমপক্ষে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে হুথিরা দাবি করেছে।

যদিও ইয়েমেনের বিদ্রোহী হুথিদের এই দাবি মানতে রাজি নয় সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। ইতিমধ্যেই সৌদি আরবের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছেলইয়েমেনের কারাগারে মিসাইল ছোঁড়েনি। এমনকি ওই এলাকায় কোন‌ও কারাগার নেই বলেও তারা দাবি করেছে।

এই বিষয়ে ইয়েমেনে ত্রাণকার্যে নিযুক্ত রাষ্ট্রপুঞ্জের আধিকারিকরা নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি। তবে হুথিদের দাবি, একটি টেলিকমিউনিকেশন সেন্টারে বিমান হামলা চালানোর সময় ভুল করে ইয়েমেনের কারাগারে মিসাইল ছোঁড়ে সৌদি নেতৃত্বাধীন বাহিনী।

উল্লেখ্য সৌদি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর ক্রমাগত বিমান হামলায় ইয়েমেনের টেলিকমিউনিকেশন এবং ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে।

সোভিয়েতকে ফিরিয়ে আনাই লক্ষ্য! কাজাখাস্তানে সেনা পাঠিয়ে জল্পনা উস্কে দিলেন পুতিন

হুথিদের দাবি বিমান হানায় কারাগারে কয়েদিদের পাশাপাশি আশেপাশের এলাকার বেশ কিছু মহিলা ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যেই তারা মৃত তিনটি শিশুর ছবি প্রকাশ্যে এনেছে। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে ওই কারাগারে বন্দিরা নয়, বরং সেখানকার আশ্রয়হীন শ্রমিকরা রাত্রিবেলায় ঘুমতো।

দুই পক্ষের পরস্পর-বিরোধী দাবির মধ্যে একটা বিষয় স্পষ্ট ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ থামার কোনও নাম নেই। উল্টে হুতিদের পাল্টা হানার পর রণমূর্তি ধারণ করেছে সৌদি নেতৃত্বাধীন বাহিনী।

হুথিদের বিদ্রোহী বাহিনী বলা হলেও তারা নিজেদেরকে ইয়েমেনের প্রকৃত শাসক বলে দাবি করে। শিয়া অধ্যুষিত ইয়েমেনে শাসন ক্ষমতা দীর্ঘদিন ধরে সুন্নিদের হাতে ছিল। কিন্তু ইরানের মদদপুষ্ট হুথিরা দেশের বৈধ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরই এই গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত‌।

২০১৫ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘের তথ্য বলছে ইয়েমেনের বেশিরভাগ মানুষ এই গৃহযুদ্ধের কারণে ঘর ছাড়া। অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয়েছে‌। সে দেশে দুর্ভিক্ষ ও দারিদ্র্য চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। তাই সত্ত্বেও মধ্যপ্রাচ্যের যুযুধান দু’পক্ষের কেউ‌ই একচুলও পিছু হটতে রাজি নয়। আসলে ইয়েমেনের মাটিতে এই যুদ্ধ হলেও মূল লড়াইটা হচ্ছে শিয়া ইরান বনাম সুন্নি সৌদি আরবের মধ্যে।

সম্পর্কিত পোস্ট