অবিজেপি জোটে শান, ভবানীপুরে প্রার্থী না দিয়ে মমতাকে নৈতিক সমর্থন কংগ্রেসের
দ্য় কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে উপনির্বাচনে প্রার্থী দেবে না কংগ্রেস। কংগ্রেসের হাইকমান্ডের এই সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার রাতে স্পষ্ট করে দিয়েছেন সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
তিনি জানিয়েছেন ভবানীপুরে প্রার্থী দেওয়ার মানে প্রচ্ছন্নভাবে বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়া। আর সেটা চাইছে না কংগ্রেস নেতৃত্ব। শুধু তাই নয় সংযুক্ত মোর্চার তরফে ভবানীপুরে প্রার্থী দেওয়া হলেও তাকে সমর্থন বা তার হয়ে প্রচার কোনটাই করবে না কংগ্রেস। এদিন তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
জানা গিয়েছে শুধু ভবানীপুর নয় জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে নির্বাচনে লড়ছে না কংগ্রেস। তার কারণ জঙ্গিপুরে বামেদের তরফে প্রার্থী দেওয়া হয়েছিল। আর সামশেরগঞ্জে যাকে প্রার্থী করা হয়েছিল কংগ্রেসের তরফে তিনি বেঁকে বসেছেন। ফলে নতুন করে সেখানে প্রার্থী দেওয়ার সুযোগ নেই।
পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা সাহায্য ঘোষণা রাজ্যের
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই তিনটি কেন্দ্রে প্রার্থী না দিয়ে তৃণমূলের জয়ের পথ আরো সুগম করে দিল কংগ্রেস। জঙ্গিপুর বরাবরই তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। অনায়াসেই সেখান থেকে জয়ী হয়ে আসতে পারে জাকির হোসেন।
অন্যদিকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে অবিজেপি জোটগুলিকে একসঙ্গে লড়াই করার ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিগত দিনে দিল্লি সফরে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন সেই মহাজোটকে সামনে রেখেই এ রাজ্যের তিনটি কেন্দ্রে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস । তার কারণ কোনভাবেই তারা চাইছে না বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমি দিতে। এই মুহূর্তে গোটা দেশে কংগ্রেসের অবস্থা তথৈবচ। ইতিমধ্যে অনেকেই করে তৃণমূল বা বিজেপি শিবিরে সামিল হয়েছেন।
তাই কোনো পরিস্থিতিতেই কংগ্রেস চাইছে না তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাত তৈরি করতে। এই মুহূর্তে সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোট গঠনে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতা নিয়ে টুইটে বিজেপিকে একহাত নিয়েছে কংগ্রেস।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নিঃসন্দেহে কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্ত তৃণমূলের প্রতি নৈতিক সমর্থন অর্থপূর্ণ। আগামী দিনে এই জোট অক্ষুন্ন রাখলে ২০২৪ এর রাজনৈতিক সমীকরণে বিপুল পরিবর্তন আসতে পারে। যদিও সবটাই সময়ের খেলা।