Bali corruption : বালি দুর্নীতি তে নজর এবার ইডি ও সিবিআইয়ের, নাম রয়েছে শাসক দলের বহু নেতার!
বালি দুর্নীতি তে নজর এবার ইডি ও সিবিআই
The Quiry : Bali corruption ছোটনাগপুর মালভূমি থেকে দামোদর নদ পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং বর্ধমান জেলার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে। নদ, নদী থেকে বালি উত্তোলনের ক্ষেত্রে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুন্যাল থেকে রাজ্য সরকারের একাধিক নির্দেশিকা রয়েছে। সেই নির্দেশিকাকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বালি উত্তোলনের নামে অবাধে যুক্তরাজ চালিয়ে যাচ্ছে মাফিয়ারা। এর ফলে নদীর যে অংশে বালি রয়েছে তার ড্রেসিং করে মাটি পর্যন্ত বের করে ফেলেছে
মাফিয়ারা।
এদিকে প্রতিবছর সরকার দামোদর নদ থেকে যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় করে তা সরকারের কোষাগারে যায় খুবই সামান্য পরিমাণ। অধিকাংশই টাকা রাজ্যে শাসকদলের নেতা মন্ত্রীর ঘরে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। কিন্তু হুমকির ভয়ে মুখে কুলুপ এঁটে থাকতে হয়। এই টাকা সরকারের কোষাগারে পড়লে কিছুটা হলেও আর্থিক উন্নতি হত। কিন্তু তা না হয়ে শাসকদলের বহু নেতা মন্ত্রী প্রাসাদসম অট্টালিকা তৈরি করছেন, বাড়ছে তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ।
এবার আর মুখে কুলুপ এঁটে থাকা নয়! এই বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করলেন বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার ও জেলাশাসক পুন্যেন্দু মাঝি এবং পুলিশ সুপার। জানা গিয়েছে, অবৈধ বালির উত্তরণের নেট মেশিন থেকে বাকেট তুলে ফেলে দিয়েছেন। শুধু খণ্ডঘোষ নয়, একইসঙ্গে শিলা ঘাট, গোলসি, বুদবুদ রণ্ডিয়া, বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ বালিঘাটগুলোতে বালি মাফিয়ারাজ বন্ধ করতে উঠে পড়ে লেগেছেন তারা। ইতিমধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি এই মাফিয়াদের নামের তালিকা ইডি ও সিবিআইকে লিখিত আকারে চিঠি দিয়েছেন।
Bali corruption : বালি দুর্নীতি তে নজর এবার ইডি ও সিবিআইয়ের, নাম রয়েছে শাসক দলের বহু নেতার!
আরও খবর- Ramlala’s Coronation : রামলালার রাজ্যাভিষেক – প্রস্তুত অযোধ্যা বিমানবন্দর , দেখুন রানওয়ের ছবি
এই অবৈধ বালি খাদানের সঙ্গে যুক্ত থেকেছে একসময় বামফ্রন্ট আর ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে আগে রাজ্যের শাসকদল। বিভিন্ন সূত্র থেকে এও জানা যাচ্ছে বিজেপির একটা অংশও এর সঙ্গে যুক্ত। তবে তদন্তে আসল ঘটনা জানা যাবে। এই পরিস্থিতিতে সরকারকে কঠিন আইনের মাধ্যমে এই নদীকে বাঁচাতে হবে। না হলে চাষবাষের বিপুল ক্ষতি হবে। নদী তার নাব্যতা হারাবে।সিবিআই ও ইডি ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। মনে করা হচ্ছে, অনেকেরই ঘুম কেড়ে নিতে পারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা তদন্তকারী সংস্থাগুলি। এই কান্ডের সঙ্গে বহু অপরাধের সংমিশ্রণ রয়েছে বলেও দাবি।