ভুলবশত হামলা বোয়িং ৭৩৭ এর ওপর, দায় স্বীকার ইরানের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ তেহরানে বিমান দুর্ঘটনার পর থেকেই বিমান দুর্ঘটনাকে যান্ত্রিক গলোযোগ হিসাবে উড়িয়ে দিতে রাজি ছিলেন না ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ওলেকসি হাঞ্চরুক। শনিবার ইরানের বিবৃতি অনুযায়ী মিলে গেল ইউক্রেন প্রধানমন্ত্রীর আশঙ্কা। ক্ষেপনাস্ত্রের কারণেই আছড়ে পড়ে বোয়িং ৭৩৭। যদিও বিষয়টি অনিচ্ছাকৃতভাবে করা বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জারিফ টুইটারে জানিয়েছেন, আমেরিকার সঙ্গে যে তিক্ত সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, তার ফলেই ভুলবশত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। অন্যদিকে ঘটনাটিকে “মারাত্মক ভুল” বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। কিভাবে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটল? তা খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছে ইরান সেনা। সেইসঙ্গে মৃতদের পরিবারের কাছে এই বিষয়ে ক্ষমা চেয়েছেন তাঁরা।
A sad day. Preliminary conclusions of internal investigation by Armed Forces:
Human error at time of crisis caused by US adventurism led to disaster
Our profound regrets, apologies and condolences to our people, to the families of all victims, and to other affected nations.
💔— Javad Zarif (@JZarif) January 11, 2020
৮ জানুয়ারি ১৭৬ জন যাত্রী নিয়ে তেহরানের ইমাম খোমেইনি বিমানবন্দর থেকে ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বোয়িং ৭৩৭। কিন্তু বিমানবন্দর থেকে কিছুদুর ওড়ার পরেই ভেঙে পড়ে বিমানটি। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ১৩৭ জনের। প্রাথমিকভাবে বিমান দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে যান্ত্রিক গোলযোগকেই দুষেছিল ইরান। দুর্ঘটনার পর ইরান সিভিল অর্গানাইজেশনের তরফে জানানো হয়, বিমান ভেঙে পড়ার পরেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ইরান এমার্জেন্সি সার্ভিসের তরফে জানানো হয়েছিল ভেঙে পড়ার পরেই আগুন লেগে যায় বিমানে।
আমেরিকার ড্রোন হামলায় ইরানি কম্যান্ডার ইন চিফ কাসেম সোলেমানির হত্যার পরেই ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে ইরান। ইরাকের মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে ইরানের হামলার কয়েকঘন্টা পর বোয়িং ৭৩৭ ভেঙে পড়ার ঘটনা আন্তর্জাতিক মহলে জল্পনা বাড়িয়ে তোলে। ইরানের ছোঁড়া একটি ক্ষেপনাস্ত্র আঘাত করে বিমানটিকে।
শুরু থেকেই ঘটনার পিছনে নাশকতার গন্ধ খুঁজে পাচ্ছিল ইউক্রেন এবং আমেরিকা। ঘটনার তদন্তের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত বিমানের ব্ল্যাকবক্স দিতে রাজি হয়নি ইরান।
“ভুলবশত এই কাজ করেছে ইরান”। সংবাদমাধ্যমকে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ঘটনার তদন্তের জন্য দাবী জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রবিস জনসন। এরই মধ্যে সামনে আসে ক্ষেপনাস্ত্রের ভিডিও। যা সন্দেহ আরও জোরালো করে তোলে। অবশেষে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা মানতে বাধ্য হয় ইরান।