পঞ্চায়েতে কতটা কড়া হতে পারবেন অভিষেক? নিচুতলায় বিদ্রোহ হবে না তো
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দুর্নীতি, কাটমানির অসাধু চক্রের হাত থেকে তৃণমূলকে বের করে আনতে শীর্ষ নেতৃত্বের বাজি পঞ্চায়েত নির্বাচন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছেন, দুর্নীতি, স্বজন পোষণের পাশাপাশি ঠিকেদারির সঙ্গে যুক্তদের পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী করা হবে না।
সেইমতো পঞ্চায়েতের প্রার্থী তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে খবর। কিন্তু প্রার্থী ঠিক করতে গিয়ে কতটা কড়া হতে পারবে তৃণমূল?
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর দুর্নীতির দায়ে জেলে গিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। পঞ্চায়েত ভোট হতে এখনও আট মাসের মতো বাকি আছে। কিন্তু তার আগে কেষ্ট মণ্ডল যদি জেল থেকে বেরিয়ে না আসে, তবে বীরভূমে তৃণমূল মানসিকভাবে যে বেশ কিছুটা ধাক্কা খাবে তা বলাই যায়। কারণ গ্রাম প্রধান বীরভূমকে বাস্তবিকই হাতের তালুর মতো চেনেন অনুব্রত। ওই জেলায় তাঁর কথাতেই তৃণমূলের শুরু ও শেষ।
এই পরিস্থিতিতে দলের ভাবমূর্তি ঠিক করার পাশাপাশি যাবতীয় বিতর্ক থামাতে পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এবার বেশ সতর্ক তৃণমূল। সূত্রের খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পই পই করে বলে দিয়েছেন স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কর্মীদেরই প্রার্থী করতে হবে। যদিও তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন আছে।
নন্দীগ্রামের শেখ সুফিয়ান, আবু তাহের, ফলতার জাহাঙ্গির খান এঁদের প্রার্থী করা থেকে বিরত থাকার সাহস দেখাতে পারবে তৃণমূল কংগ্রেস? এই প্রশ্ন উঠছে কারণ এলাকায় এঁদের কারোর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নেই। এমন অবস্থা সর্বত্রই। অথচ এলাকায় এলাকায় এরাই তৃণমূল করে, তৃণমূলটাকে ধরে রেখেছে।
মন্ত্রীই বলছেন ‘দলটা করা যাবে না!’ বিচ্ছিন্ন ঘটনা, নাকি তৃণমূলে সমস্যা অনেক গভীরে
স্বচ্ছতা অভিযান করতে গিয়ে বাদ পড়লে এই নেতারা ক্ষুব্ধ হতেই পারেন। সেক্ষেত্রে বড় বিপদের পড়তে পারে তৃণমূল। কারণ এদের প্রতিস্পর্ধি কাউকে এতো তাড়াতাড়ি হঠাৎ পাওয়াটা প্রায় অসম্ভব। সমস্যার অন্য দিকও আছে। এই নেতাদের রেখে দিলে আমজনতার আস্থা চলে যেতে পারে। আবার এরাই নিয়ন্ত্রণ করে শাসকের ভোট মেশিনারি।
সবমিলিয়ে মুখে বললেও স্বচ্ছতা অভিযান খুব সহজ হবে না তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষে। এদিকে এতো ঢাকঢোল পেটানোর পর প্রার্থীত পরিবর্তন নজরে না এলে বিরোধীদের সমালোচনা যে তুঙ্গে উঠবে তা অনুমান করাই যায়।