মুকুল জায়াকে কেন্দ্র করে রায় পরিবারের সঙ্গে তৃণমূলের নয়া সমীকরণ!
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গত 48 ঘণ্টায় বাংলার রাজনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। এক সময় ‘অহি-নকুল’ সম্পর্কের অলিন্দে থাকা মুকুল রায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মধ্যে সম্পর্কে অদ্ভুত উন্নতি লক্ষ্য করছে রাজনৈতিক মহল। কোনো সন্দেহ নেই এই উন্নতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন মুকুল জায়া কৃষ্ণা রায়।
একদিকে বিজেপির সঙ্গে মুকুল রায়ের সম্পর্কের শীতলতা, অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষ্ণা রায়কে ‘মাতৃ সম’ বলায় রাজনীতির কারবারিরা অন্য সমীকরণ দেখছে। কথায় বলে, রাজনীতি সম্ভাবনার শিল্প। কাজেই এই ঘটনাক্রমকে সামনে রেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা ভবিষ্যতে মুকুল রায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের কাছাকাছি আসার সম্ভাবনা দেখছে।
যদিও বাংলার রাজনীতিতে ‘চাণক্য’ বলে পরিচিত মুকুল রায় এই মুহূর্তে এই নিয়ে কিছু মুখ খুলতে চাইছেন না। তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলছেন, তার কৃষ্ণা রায়কে দেখতে যাওয়ায় রাজনীতি খুঁজবেন না। অন্যদিকে মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু অভিষেকের এই পদক্ষেপকে সৌজন্যের অনন্য নিদর্শন হিসেবেই দেখছেন।
এমতাবস্তায় বিশিষ্ট সাংবাদিক তথা রাজনৈতিক বিশ্লেষক শান্তনু সান্যাল বলছেন, এই বিষয় নিয়ে এখনই কিছু বলার মত সময় আসেনি। তিনি বলেন, যদিও রাজনীতিতে অসম্ভব বলে কিছু হয়না। তবে আমার মনে হচ্ছে মুকুল রায় এবং তার পুত্রকে নিয়ে যে জল্পনা তৈরি হয়েছে তাকে গুরুত্ব দেওয়ার মত সময় এখনো আসেনি।
গাড়ির মধ্যে বসেই মিলবে করোনা টিকা, এবার উদ্যোগ পুরনিগমের
শুভ্রাংশু রায়ের ক্ষেত্রে যদিও বা এখনই দল বদল করা সম্ভব, মুকুল রায়ের ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। তার মতে, ভুলে গেলে চলবে না এই মুহূর্তে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের পাওয়ার হাউস অনেক বেশি অভিষেক কেন্দ্রিক। পুরনো দলে ফিরলেন আদেও তার পুরনো গ্রহণযোগ্যতা থাকবে কিনা সন্দেহ। সবচেয়ে বড় কথা বিজেপির মত একটা সর্বভারতীয় দলে এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন তিনি। আমার মনে হয় না কোনোভাবেই তিনি সেটা ছেড়ে আসতে চাইবেন।
যদিও শুভ্রাংশু নিয়ে অন্য মত শান্তনুবাবুর।
তিনি মনে করছেন, মুকুল রায়ের অনেক পরে শুভ্রাংশু বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার পক্ষে তৃণমূল কংগ্রেসের ফেরা যতটা সহজ মুকুল রায়ের পক্ষে ততটা নয়। আর সে কারণেই এখনই মুকুল রায়কে নিয়ে জল্পনার ক্ষেত্র তৈরি করা বড্ড তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।