আমফানে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণের দাবি নিয়ে গন ডেপুটেশন বামেদের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মহামারী করোনা ভাইরাসের জেরে দেশ ও রাজ্য জুড়ে লকডাউন চলছে। আর সেই সময় গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত শক্তিশালী আমফান ঝড়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে উত্তর ২৪ পরগণার দেগঙ্গা, হাড়োয়া, বাদুড়িয়া, বসিরহাট মিনাখাঁ ও সন্দেশখালি সহ বিস্তীর্ণ ব্লক।
আমফানের গতিপথের দেগঙ্গা পড়ে যাওয়ায় এই এই ব্লকে বিপুল পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষক থেকে শুরু করে দুঃস্থ মানুষেরা। ঘরবাড়ি হারিয়ে অসংখ্য মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেছেন। আর এই ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যরা দুর্নীতি করেছে অভিযোগ তুলে গত কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ মিছিল চলছে দেগঙ্গা বিডিও অফিসের সামনে। এবারে সেই বিক্ষোভ মিছিলে সামিল হলো বাম শিবির।
আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদনপত্র জমা নিতে হবে, তিন মাস বিদ্যুতের বিল মকুব করতে হবে, রাজ্য সরকারের দেওয়া ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে এইরকম প্রায় ১৬ দফা দাবি নিয়ে দেগঙ্গা বিডিও অফিসের সামনে বেলা বারোটা থেকে তিনটে পর্যন্ত গণবিক্ষোভ দেখায় বামেরা।
কোচবিহার জেলার যাত্রী পরিবহন শুরু রাখতে জেলা পুলিশের বৈঠক
অবশেষে গন ডেপুটেশন এর মাধ্যমে এই বিক্ষোভ সমাপ্ত হয়।বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিআইএম এর সদস্য কমরেড ইমতিয়াজ হোসেন।
কমরেড ইমতিয়াজ হোসেন অভিযোগ করেন,
- তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যরা আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের টাকা নিয়ে দুর্নীতি করেছে।
- তাদের এই চোরা নীতি আর বরদাস্ত করবে না সাধারণ মানুষ।যারা প্রকৃতপক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারা রাজ্য সরকারের দেওয়া ক্ষতিপূরণের টাকা পায়নি।
- সেই টাকা পেয়েছে তৃণমূল পরিচালিত দেগঙ্গা ব্লকের পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যদের মনোনীত ব্যক্তিরা।
- এই দুর্নীতি বন্ধ করে সঠিক তদন্ত করতে হবে এবং যে সমস্ত মানুষ তীব্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত তাদের আবেদন পত্র জমা নিতে হবে।
- তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে বলে তিনি দাবি করেন।
পাশাপাশি গণবিক্ষোভের মাঝে কমরেড ইমতিয়াজ হোসেন ১৬ দফা দাবি নিয়ে দেগঙ্গার বিডিও সুব্রত মল্লিক ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মফিদুল হক সাহাজির কাছে গন ডেপুটেশন জমা দেন ।
কথা রাখলেন ফিরহাদ, বুধবার থেকেই কলকাতা সংলগ্ন জেলায় পুরসভার বিশেষ বাস চালু
ডেপুটেশন শেষে ইমতিয়াজ হোসেন বিক্ষোভকারীদের কে বলেন, যে তাদের দাবি খতিয়ে দেখবে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং এই ক্ষতিগ্রস্ত টাকা নিয়ে যারা দুর্নীতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে।
পাশাপাশি আগামী রবিবার পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে বলে বিডিও সুব্রত মল্লিক ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সভাপতি মফিদুল হক সাহাজি আশ্বস্ত করেন। এরপর এবেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ এই বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষ হয়।