টি আই প্যারেড এখনও পর্যন্ত হল না, আনিস আদৌ সুবিচার পাবেন তো!
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আনিস খান ‘হত্যা’ কাণ্ডে রাজ্য সরকার আমতা থানার দুই কনস্টেবলকে সাসপেন্ড ও এক হোমগার্ডকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করেছে। বুধবার দুপুরে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী নিজে জানিয়েছেন দুই পুলিশকর্মীকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
অর্থাৎ ইচ্ছায় হোক বা পরিস্থিতির চাপে, রাজ্য সরকারের তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে। কিন্তু কেন এখনও পর্যন্ত অপরাধী চিহ্নিতকরণের জন্য টি আই প্যারেড হল না সেই প্রশ্ন বিভিন্ন মহল থেকে উঠছে।
মৃত আনিসের বাবা একাধিকবার সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেছেন ঐদিন বাড়িতে আসা পুলিশকর্মীদের তিনি চিনতে পারবেন। এদিকে তদন্ত প্রক্রিয়া যে দিকে এগোচ্ছে তাতে মোটামুটি পরিষ্কার এই ঘটনার সঙ্গে আমতা থানার পুলিশ কর্মীদের একাংশের যোগ আছে।
ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ রাজ্যের
এই অবস্থায় সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আনিসের বাবাকে দিয়ে টি আই প্যারেড, অর্থাৎ অপরাধী সনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাটা অত্যন্ত জরুরি ছিল। আইনঔ তাই বলছে।
টি আই প্যারেড কি?
অভিযোগকারী, যিনি দাবি করছেন অপরাধীকে চিনতে পারবেন, তাঁর সামনে সম্ভাব্য অপরাধীদের সকলকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। এবার অভিযোগকারী গিয়ে প্রত্যেকে ভাল করে খুঁটিয়ে দেখে অপরাধী বা অপরাধীদের চিহ্নিত করেন। এই প্রক্রিয়াকেই বলা হয় টি আই প্যারেড । সেক্ষেত্রে প্রমাণ সহ তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে অনেক সুবিধে হয়।
সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আমতা থানার ওসি থেকে শুরু করে সাধারণ পুলিশকর্মী, সকলকে আনিসের বাবার সামনে হাজির করে টি আই প্যারেড করলে নির্দিষ্ট অপরাধীদের চিহ্নিত করা অনেক সহজ হয়ে যেত। যদি তর্কের খাতিরে ধরে নেওয়া যায় আনিসের বৃদ্ধ বাবা অপরাধীদের চিহ্নিত করতে পারলেন না, সেক্ষেত্রেও পুলিশের কাছে তদন্তের নতুন দিক উন্মোচিত হবে।
পাশাপাশি ভদ্রলোক দাবি করেছেন অপরাধীদের মুখ তাঁর স্পষ্ট মনে আছে। এখানেই প্রশ্ন, পুলিশের আর্টিস্ট দিয়ে কেন আনিসের বাবার সাহায্যে অপরাধীদের প্রতিচ্ছবি অঙ্কন করা হচ্ছে না?এ সত্যি বিস্ময়ের ব্যাপার।
সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আনিস খান ‘হত্যা’ রহস্যের তদন্ত প্রক্রিয়া এগোলেও পরতে পরতে খামতি ধরা পড়ছে। এতে আনিস আদৌ সুবিচার পাবেন কিনা তা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে।